ডেস্ক: আর কয়েক মাস পরেই দেশের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। তার আগে ভারতের সব রাজনৈতিক দলগুলি নানা কৌশল নিচ্ছে। ভোটের ময়দানে কেউই কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন স্বচ্ছ করতে এখন থেকেই বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আঁচ গিয়ে পড়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতেও। লোকসভা নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন করতে উদ্যোগ নিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম।
নির্বাচন থাকুক আর না থাকুক, রাজনৈতিক দলের প্রচারে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। বিভিন্ন দলের এবং রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের ছবি থেকে শুরু করে তাদের বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক, টুইটারে সহ বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে। আর নির্বাচনের প্রাক্কালে তার সংখ্যা যে বহুগুণ বেড়ে যায় তা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। এই জায়গাতেই কঠোর হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। ২০১৯ নির্বাচনের জন্য যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে চান তাদের সম্পূর্ণ পরিচয়পত্র প্রকাশ করতে হবে ফেসবুকের কাছে। শুধু পরিচয়পত্র নয়, বিজ্ঞাপন আপলোডকারী ব্যক্তিদের তাদের লোকেশনও শেয়ার করতে হবে। সূত্রের খবর, আগামী বছর জানুয়ারী থেকেই ফেসবুক একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া শুরু করবে যেখানে এই বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিধি দেওয়া হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রদানকারীরা যদি পরিচয়বিধির নিয়ম সম্পূর্ণ না মানে তবে তাদের কোনও বিজ্ঞাপনই ফেসবুকের অনুমোদন পাবে না। বাহ্যিক কোনও শক্তি যাতে ভারতের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারে, তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
কিছু বছর আগেই ফেসবুকের লক্ষাধিক গ্রাহকের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামক সংস্থার বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করত। ফেসবুক থেকে গ্রাহকদের তথ্য নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হত বলে জানান হয়েছিল। এমনকি ভারতের নির্বাচনেও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার প্রভাব ছিল বলে জানা গেছিল। ফেসবুককে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলেও কর্তৃপক্ষ তা প্রথমে এড়িয়ে যায়। পরে অবশ্য ফেসবুক সিইও মার্ক জুকেরবার্গ তার ‘ভুল’ স্বীকার করে নেন।