ডেস্ক: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। নেট ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পন্থায় বাইরের জগতে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। যার অন্যতম উদাহরণ কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। সোশ্যাল মিডিয়া বা একজন নেট ব্যবহারকারীর গতিপ্রকৃতি থেকে অনেকাংশে অনুধাবন করা যায় যে সে কী চাইছে, সমাজ সম্পর্কে তার দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়।
সাধারণ নেট ব্যবহারকারীরাই আবার যে কোনও দেশের ভোটার। সুতরাং, প্রাক নির্বাচনকালে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন এখনকার রাজনীতিবিদরা। সেই ব্যাপারে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর এখন অন্যতম সেরা হাতিয়ার ফেসবুক। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ে ফেসবুকে কোনও নির্দেশিকা না থাকায় একপ্রকার অবাধেই ব্যবহার কড়া হচ্ছে সেই হাতিয়ার।
কয়েক মাস পর ভারতেও যেমন নির্বাচন রয়েছে, তেমনই নির্বাচন রয়েছে নাইজেরিয়া, ইউক্রেনের মতো দেশেও। এদিকে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। কৌশলে ভোটার মনোভাব জেনে নেওয়াও চুরির থেলে কোনও অংশে কম নয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোটের ফল আশানুরূপ না হলে ফেসবুক বা কোনও সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে আঙুল যে উঠবে না, তা বলাও এখন দুষ্কর। তাই আগেভাবেই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে চলেছে ফেসবুক। রাজনৈতিক বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞাপনী ভিডিও’র আগে ‘ডিসক্লেমার’ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সংবাদপত্র, টিভি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে যেমন লেখা থাকে, ‘এই বিজ্ঞাপণের দায় কর্তৃপক্ষের নহে’, অনেকটা সেই ধাঁচের ভাবনা। কোনও বিজ্ঞাপনের আগে এরূপ নির্দেশিকা থাকলে দর্শক বা ব্যবহারকারীর মনেও আলাদা একটা প্রভাব পড়তে বাধ্য। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও দেওয়া হয়ে যাবে এক নির্দেশিকা। সিদ্ধান্ত তখন ব্যবহারকারীর।