পাকিস্তানে এক হিন্দু পরিবারের পাঁচজন সদস্যর গলা কেটে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, একই পরিবারের ওই পাঁচজনের দেহ খুবই রহস্যজনক পরিস্থিতিতে পাওয়া গিয়েছে। তাদের মৃতদেহের পাশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে খবর, মৃত ওই পরিবারের সদস্যরা মেঘওয়াল হিন্দু বংশের ছিলেন। ওই পরিবারের প্রধান রামচাঁদ প্রায় ৩৫ থেকে ৩৬ বছর বয়সী ছিলেন। রামচাঁদ পেশায় একজন দর্জি ছিলেন বলেও স্থানীয় সূত্রেই অনুযায়ী জানা গিয়েছে। পাকিস্তানে ফের হিন্দু পরিবারের এই ধরনের খুনের ঘটনায় স্থানীয় বসবাসকারি হিন্দু পরিবারের মধ্যে আবারও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রামচাঁদ এবং তার পরিবার রহিম ইয়ার খান শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে, আবুধাবি কলোনির বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রাই পুলিশের খবর দেয়। পুলিশ এসে তারপর তাদের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর ,দেহে ঠিক পাশ থেকেই একটি ধারালো ছুরি এবং একটি কুড়ুলও পাওয়া গিয়েছে । কোন ধারালো অস্ত্র দিয়েই তাদের গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সর্দার উসমান বুজদার এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ধৃতদের খুব দ্রুত আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর কিছুদিন আগেই পাকিস্তানে হিন্দু পরিবারের একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে জোর করে ধর্মান্তকরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। তার পাশাপাশি গত মাসে পাকিস্তান পুলিশের বিরুদ্ধেও হিন্দু মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানে।