মহানগর ওয়েবডেস্ক: নবরাত্রি ও দুর্গাপুজোর সময় উত্তর ভারতে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে৷ অবশ্য শুধু উত্তরেই নয় মধ্যপ্রদেশ, বিহারেও বন্যা চলছে৷ গত চার দিনে বন্যা ও অন্যান্য ঘটনায় ৮০জনের মৃত্যু হয়েছে।এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে পরবর্তী দুদিন রাজ্যটির পূর্বাংশের জেলাগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৭০০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়। রাজ্যটির পূর্বাংশেই বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।শনিবার প্রায়াগরাজে ১০২ দশমিক ২ মিলিমিটার ও বারানাসিতে ৮৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সাধারণত বছরের এ সময়টিতে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, এটি তার চেয়ে অনেক বেশি। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শুক্র ও শনিবার লখনৌ, আমেথি ও অন্যান্য কয়েকটি জেলায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়।নিহতদের পরিবার পিছু চার লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে যোগী প্রশাসন৷
প্রবল বর্ষণে নাজেহাল উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশও। গত দু’দিনের তুমুল বর্ষণে মৃত্যুর খবর আসছে ওই চারটি রাজ্য থেকেও। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে তুমুল বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা ছয়। জম্মু-কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে এক জনের।ভয়াবহ অবস্থা উত্তরপ্রদেশের। রাজ্যে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার। স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টি পড়েছে ১৭০০ শতাংশ বেশি। শুধু শনিবারেই প্রয়াগরাজে (পূর্বতন ইলাহাবাদ) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০২.২ মিলিমিটার। বারাণসীতে ৮৪.২ মিলিমিটার।
৪৮ ঘন্টার তুমুল বর্ষণে ডুবুডুবু বিহারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্কুল, কলেজ, এমনকী হাসপাতালও বন্ধ রাখতে হয়েছে। রবিবার সকালেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ১৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী কাল পর্যন্ত তুমুল বৃষ্টি হবে পটনায়। সেই আশঙ্কায় মঙ্গলবার পর্যন্ত পটনার সব স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে।পাটনার জেলাশাসক কুমার রবি বলেছেন, ‘‘বৃষ্টিতে হাল সবচেয়ে খারাপ হয়ে পড়েছে রাজেন্দ্র নগর এবং এস কে পুরি এলাকাদু’টির। নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে।’’গত দু’দিনের তুমুল বর্ষণে বিহারের যে সব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই সব জায়গায় ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১৮টি দল পৌঁছে গিয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।