ডেস্ক: ছুটির দিনে প্রিয়জন কিংবা পরিবারের লোকেদর নিয়ে রেস্টুরেন্টে ডিনার করবেন? সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলী সে গুড়ে বালি দিয়েছে৷ মাসখানেক যাবৎ ভাগাড় কাণ্ড নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে কেউ আর রেস্টুরেন্টমুখি হতে চাইছে না৷ শুধু পচা মাংস নয়, পচা মাছেও বাজার ছেয়ে গিয়েছে৷ শহরের নামীদামি রেঁস্তোরায় যেতে আর কেউ সাহস পাচ্ছেন না৷ রেঁস্তোরার খাবার এখন আর কারও কাছে নিরাপদ নয়৷ ফলে মাছি তাড়াচ্ছে অনেক রেঁস্তোরা মালিক৷ এবার নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হল৷ চায়না টাউনের একটি রেস্তরাঁর খাবারে আরশোলা মেলার অভিযোগকে ঘিরে এই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রেস্তরাঁর ম্যানেজার ও সার্ভিস বয়কে গ্রেফতার করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, বিজয়গড়ের রজত পাল ও তাঁর স্ত্রী-সহ মোট আটজন চায়না টাউনের একটি নামী রেস্তরাঁয় খেতে যান। তাঁরা ফ্রায়েড রাইসের অর্ডার করেছিলেন৷ খাওয়ার সময় ফ্রায়েড রাইসের মধ্যে একটি আরশোলার দেহাবশেষ লক্ষ্য করেন রজতবাবুর স্ত্রী শতরূপা। প্রথমে বিষয়টি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। এরপর রেস্তরাঁর ম্যানেজারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তাঁদের। কোনও সুরাহা না হওয়ায় প্রগতি ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রজতবাবু। তদন্তে নেমে রেস্তরাঁর ম্যানেজার নন্দ দাস ও সৌমিত্র জানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।