সায়ন মজুমদার: গত পয়লা আগস্ট ১০০তম বর্ষে পা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই সময় থেকেই নানা আকর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন লাল হলুদ কর্তারা। সে প্রায় তিন দশক পর মাজিদ বিসকারকে ইরান থেকে উড়িয়ে আনাই হোক কিংবা সকল জীবিত অধিনায়ককে সম্মান জানানো, বেশ অভিনব কায়দায় শতবর্ষকে স্মরণীয় করতে রাখতে উদ্যোগী ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে সবচেয়ে অনন্য উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল শুক্রবার, ক্লাব তাঁবুতে। আর কদিন পরেই বাংলার সেরা উৎসব, দুর্গাপুজো। শতবর্ষ উপলক্ষে এবার তাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকেও প্রদান করা হবে অনন্য শারদ সম্মান।
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, কলকাতা, সল্টলেক ও দমদম পুরসভার অন্তর্গত বারোয়ারিগুলির মধ্যে থেকে সেরা বারোয়ারীকে বেছে নেওয়া হবে। যে সকল বিভাগে সেরার সম্মান দেওয়া হবে সেগুলি হল সেরা পুজো, সেরা মণ্ডপসজ্জা, সেরা প্রতিমা ও সেরা উৎকর্ষ। প্রতি বিভাগে বিজয়ী বারোয়ারি পাবে এক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার। মহাষষ্ঠীর দিন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন। এরপর ৬০টি সেরা পুজোকে বাছাই করে নেওয়া হবে। অক্টোবরের এক অথবা দুই তারিখ প্রকাশ করা হবে সেরা দশের তালিকা। ষষ্ঠীর দিন সেরা চার পুজোকে বেছে নেবেন বিশেষ জুরি মেম্বাররা। এছাড়া সপ্তমীর দিন হালতুর নন্দীবাগান এলাকার একটি অনাথ আশ্রমের শিশুদের সঙ্গে সারাদিন কাটাবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এই প্রসঙ্গে ক্লাব কর্তা কল্যাণ মজুমদার জানান, ‘ইস্টবেঙ্গল শুধু তো ফুটবল ক্লাব নয়, একটা সামাজিক প্রতিষ্ঠানও। আমাদের সেই সামাজিক দায়িত্ব থেকেই এই ‘শতবর্ষে শারদ শ্রেষ্ঠ’ সম্মানের আয়োজন। আমি জানি না আর কোনও স্পোর্টস ক্লাব কখনও এই ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে কিনা। এছাড়া শনিবার আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভা। শতবর্ষ উপলক্ষে সেই সভাতেও বিশেষ চমক থাকবে।’