ডেস্ক: একদিকে অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা এখনও হয়নি। তার মাঝেই এবার রামের জন্মভূমি থেকে শুরু করে বনবাস স্থল এবং লঙ্কায় রামচন্দ্রের স্মৃতিধন্য স্থানগুলিকে এক সুতোয় বাঁধতে চালু হচ্ছে নয়া ট্রেন। যার নামকরণ করা হয়েছে শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস। ১৪ নভেম্বর দিল্লি থেকে রওনা দেবে এই ট্রেন। ৮০০ আসন বিশিষ্ট এই ট্রেনটি প্রভু রামের স্মৃতি জড়িত স্থানগুলিতে ভ্রমণ করে ১৬ দিনের মাথায় রামেশ্বরে পৌঁছাবে। ওই ১৬ দিনের যাত্রা পথে ট্রেনটি অতিক্রম অযোধ্যা হনুমানগড়ি, রামকোট, কনক ভবন মন্দির, নন্দীগ্রাম, সীতামারি, জনকপুর, বারাণসী, প্রয়াগ, নাসিক, হাম্পি এবং শেষে গিয়ে থামবে রামেশ্বরে। পুরাণ মতে ওই স্থানগুলি থেকেই লঙ্কার উদ্দেশ্যে সেতু বন্ধনের কাজ শুরু করেছিলেন রামচন্দ্রের বানর সেনা। এছাড়াও ওই রামেশ্বর থেকে থাকছে বিমানের পরিষেবা। অর্থাৎ বিমান পথে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সুযোগ। এক কথায় যদি আপনি রাম ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে জয় শ্রীরাম বলে শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস ধরে বেড়িয়ে পড়ুন রামভূমে।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আইআরসিটিসি সূত্রের খবর, এই রামভূমে ভ্রমণ করতে গেলে একজন ব্যক্তি পিছু যাওয়া আসা মিলিয়ে মোট খরচ হবে ৩৬ হাজার ৯৭০ টাকা। ট্রেন যাত্রা এবং বিমান যাত্রার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত করবে আইআরসিটিসি। এই ট্রেনের যাত্রা পথে শ্রীলঙ্কায় রামের সঙ্গে জড়িত ক্যান্ডি, নুয়ারা, এলিয়া, কলম্বো ও নেগেম্বো ভ্রমণ করানো হবে পর্যটকদের। এছাড়াও যে সমস্ত তীর্থক্ষেত্রে ঘোরানো হবে সেখানকার সমস্ত ঐতিহাসিক কাহিনী বর্ণনা করার জন্য থাকবেন বিশেষ গাইডের ব্যবস্থা। তবে লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের এই ট্রেন চালু করার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনা করা হচ্ছে। যেহেতু অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির কাজে এখনও কোনও সুরাহা হয়নি তাই হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে তুলে ধরতেই এই রামভূমের বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।