ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরবর্তী সময়ে একাধিক ক্ষেত্রে বিশ্বমঞ্চে পর্যুদস্ত হয়েছে পাকিস্তান। জইশের হামলার পর পাকিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক করে অন্তত ৩০০ জঙ্গি নিকেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপরে গতকাল পাকিস্তান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় উত্তেজনা আরও বহু মাত্রায় বেড়েছে। আগে রাষ্ট্রসংঘে মাসুদকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠলেও তা এখনও কার্যকরী করা যায়নি। তবে বিশালভাবেই মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ইসলামাবাদকে হুঙ্কার দিয়েছে বিভিন্ন দেশসহ আমেরিকাও। তাদের বার্তা, রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত নিয়ম মেনে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে পাকিস্তানকে।
বুধবারই পুলওয়ামা হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের ভূমিকা নিয়ে পাকিস্তানকে ডসিয়ার দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি, পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটের সুরক্ষা নিয়েও হুঙ্কার দিয়েছে ভারত। এই প্রেক্ষিতেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে বার্তা দিল আমেরিকা। ট্রাম্প সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে চাপানউতোর চলছে তার জন্য সীমান্তের সন্ত্রাসবাদ দায়ী। মূলত, ১৪ ফেব্রুয়ারী পুলওয়ামার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এর জন্য সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত দায়ী। তাই ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম মেনে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের আড়াল করা বন্ধ করে এবং তাদের মূলধনের যোগান বন্ধ করে।
এর পাশাপাশি, সীমান্তে উত্তেজনার জন্য ভারত-পাকিস্তান দুই রাষ্ট্রকেই আমেরিকা আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়েছে। আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানে আমেরিকার তরফে আর্জি করা হয়েছে যাতে তারা সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে। কারণ, বেশিমাত্রায় সেনাবাহিনীর ব্যবহার পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেবে।