মহানগর ওয়েবডেস্ক: ভোটের টিকিট পেতে অনেকে জাতপাতের কার্ড খেলে৷ এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়করি৷ তাঁর কথায়, , লোকে বলে, মহিলাদের সংরক্ষণ দেওয়া হোক। আমিও বলি, হ্যাঁ, দেওয়া উচিত। কিন্তু তখনই প্রশ্ন করি, ইন্দিরা গান্ধী কি সংরক্ষণ পেয়েছিলেন? তাঁর সোজা কথা, যখন কাজ দেখিয়ে ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় না, তখনই জাতপাতের কথা তুলে টিকিট পেতে চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কখনও নিজের জাতের প্রসঙ্গ তুলে রাজনৈতিক সুবিধে পাওয়ার চেষ্টা করেননি।
মহাত্মা ফুলে শিক্ষণ সংস্থায় অখিল ভারতীয় মালি সমাজ মহা অধিবেশনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিনীতীন গড়করি। বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত ভারতীয় রাজনীতিকের নাম করে তিনি বলেন, এই নেতানেত্রীরা জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতিতে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেন। তাঁর কথায়, আমি প্রশ্ন করতে চাই, জর্জ ফার্নান্ডেজের জাত কী ছিল? তাঁর তো কোনও জাত ছিল না, তিনি খ্রিষ্টান ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী কি ক্ষমতায় এসেছিলেন জাতের জন্য? অশোক গেহলট কী আপনার জাতের? তিনি তো অন্যান্য জাতের সাহায্য নিয়েই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হন।তাঁর কথায়,, লোকে বলে, মহিলাদের সংরক্ষণ দেওয়া হোক। আমিও বলি, হ্যাঁ, দেওয়া উচিত। কিন্তু তখনই প্রশ্ন করি, ইন্দিরা কি সংরক্ষণ পেয়েছিলেন? বহু বছর তিনি এই দেশ শাসন করেন, যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। বসুন্ধরা রাজে, সুষমা স্বরাজরা কি সংরক্ষণের সুযোগ নিয়েছিলেন?
কাজের মানুষরা কাছের মানুষ হন বলে বিশ্বাস করেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি নীতীন গড়করি৷ তিনি জানান, যাঁরা প্রকৃত অর্থে কাজ করেন, তাঁদের ভোট চাইতে হয় না, ভোটই আসে তাঁদের কাছে। যেমন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ কিন্তু কখনও ভোট টানতে জাতপাতের কার্ড খেলেননি। স্পষ্ট বললেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি৷