মহানগর ওয়েবডেস্ক: বেশ কয়েকদিন আগে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর আইন কলেজের এক ছাত্রী৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন চিন্ময়ানন্দ৷ তবে তাঁকেই ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে উল্টে আটক করা হয় নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকেই৷ মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও এদিন তাঁকে গ্রেফতারই করে নিল যোগীরাজ্যের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চিন্ময়ানন্দকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে গতকালই নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে আটক করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তিনি যখন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগকারিণীর জামিনের আর্জি আগামী বৃহস্পতিবার শোনা হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। তবে তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে সচিন এবং বিক্রম নামে আরও দু’জনকে রিমান্ডে নিয়েছে সিট। এর আগে ওই একই অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিটের প্রধান নবীন অরোরা দাবি করেছেন, আইনের ছাত্রী অস্বীকার করলেও, ধৃতরা সকলেই ব্ল্যাকমেলিং-এর কথা স্বীকার করে নিয়েছে। একেবারে প্রত্যাশিতভাবেই চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী বলেন, প্রথম দিন থেকেই বলে আসা হচ্ছে যে, ফেসবুকে ওই তরুণী যে ভিডিয়োটি আপলোড করেছেন সেটির সঙ্গে তোলা আদায়ের মামলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে ছাত্রীর দাবি, চিন্ময়ানন্দকে আড়াল করতেই এই নাটক করছে পুলিশ৷
উল্লেখ্য, লাগাতার একবছর ধরে ধর্ষণ৷ বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ওই আইনের ছাত্রী৷ চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তবে তাকে গ্রেফতার করলেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করার বদলে দেওয়া হয়েছিল ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌনসঙ্গমের মামলা৷ আর সেইখানেই আপত্তি তুলেছিল ওই তরুণী৷ পাশাপাশি ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মামলা রুজু করে পুলিশ৷ সেই কারণ দেখিয়েই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।