ডেস্ক: ঘরও আর নিরাপদ রইল না। রক্ষকই ভক্ষক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে যখন খুশি সুযোগ পেলেই। এ ছবি নতুন নয়, বার বার উঠে আসছে দেশের আনাচে কানাচে থেকে। এবার যেমন সেই ছবি উঠে এল এই বাংলার বুক থেকেই। নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে গত চার বছর ধরে ক্রমাগত গণধর্ষণ করে চলেছে তারই চার আত্মীয়। দীর্ঘদিন ধরে সেই অত্যাচার সহ্য করে এবার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়েই পালায় ওই নির্যাতিতা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পূর্ব বর্দ্ধমান জেলার চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। তাদের সহায়তায় সেই কিশোরী সম্প্রতি কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার ওই নির্যাতিতার পিসতুতো দাদা ও পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে। খোঁজ চলেছে তার জামাইবাবু ও তার পরিচিত এক যুবকের।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। মা মারা যাবার পর ওই কিশোরিকে যেতে হয়েছিল তারই পিসির বাড়িতে। সেখানে যখন খুশি সুযোগ পেলেই তার ওপর চড়াও হত তার পিসতুতো দাদা ও পিসেমশাই। কার্যত টানা দুই বছর ধরে সেখানে গণধর্ষণের শিকার হতে হয় ওই কিশোরিকে। সেখান থেকে ২০১৬ সালে সে যায় দিদির বাড়িতে। তখন ভেবেছিল এখানে হয়ত যন্ত্রণার হাত থেকে নিস্কৃতি মিলবে। নিজে থেকেই তাই সব কথা খুলে বলেছিল দিদি আর জামাইবাবুকে। কিন্তু তাতে হল বিপরীত। ধমকে মুখ চুপ করে রাখার কথা বলার পাশাপাশি বাড়ি ছাড়া করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর শুরু হয় নতুন করে অত্যাচার। সেখানে জামাইবাবু আর তার এক বন্ধু মিলে তাকে লাগাতার গণধর্ষণ করতে থাকে। এক সময় থাকতে না পেরে এক বন্ধুকে স্ব কথা জানিয়ে তার হাত ধরেই বাইরের জগতে পা বাড়ায় সে। তারপর চাইল্ড লাইনের সদস্যদের হাতে পড়ে যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পায় সে।