ডেস্ক: শুরুটা করেছিলেন অভিনেতা হিসাবেই, তারপর রাজনীতিতে পদার্পণ। কিন্তু কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের গোটা পর্বে মুখ খোলেন নি রজনীকান্ত। অবশেষে খুলেই বিজেপি সহ কর্ণাটকের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন তিনি। কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে সরকার তৈরি করার সুযোগ দেওয়াতে তিনি খুশি হয়ে এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের জয়’ বলে আখ্যা দেন। পাশাপাশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য বিজেপিকে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার দেওয়া ১৫ দিন সময়কে ‘গণতন্ত্রের উপহাস’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রজনী বলেন, ”কর্ণাটকে শেষ পর্যন্ত যা হল তাতে গণতন্ত্র বিজয়ী হল। বিজেপির দাবি অনুযায়ী রাজ্যপালের ১৫ দিন সময় দেওয়া গণতন্ত্রের উপহাস ছাড়া কিছুই নয়। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রেখে এই রায় দেওয়ার জন্য আমি সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে থালাইভা বলেন, ”২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের দলের এখনও উদ্বোধন হয়নি। কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতিতে লড়তে আমরা রাজি।” তবে নির্বাচনে অংশ নিলে তাঁর দল একা লড়বে নাকি জোট বাঁধবে সে নিয়েও স্পষ্ট বার্তা এদিন দিতে রাজি হন নি রজনী। তিনি বলেন, এখনই এই বিষয়ে কথা বলা অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। উল্টে দক্ষিণের জ্বলন্ত ইস্যু কাবেরির জলবন্টন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে দ্রুত কার্যকর করতে কর্ণাটকের সরকারের উপর চাপ দেন তিনি।