মহানগর ওয়েবডেস্ক: অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত যাদবপুরে। এভিবিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয়র আসাকে কেন্দ্র কে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে হয় বিক্ষোভ, দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি বাবুলের জামাও ছেঁড়ে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পড়ুয়াদের হাতে বাবুল সুপ্রিয় নিগৃহীত হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে চলে আসেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আসরে নামেন তিনি স্বয়ং। বাবুলকে নিয়ে অডিটোরিয়ামের ভিতর ঢুকে যান। কিন্তু এরপর অডিটোরিয়াম থেকে বেরনোর সময় ফের বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ার দল। এর মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে সর্বশেষে পুলিশ ঢুকেছে ক্যাম্পাসে।
জানা গিয়েছে, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের। বাবুল এই গোটা ঘটনার জন্য সরাসরি আঙুল তুলেছেন তাঁর দিকেই। বলেছেন, ‘আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? আমি যখন এলাম, তখন আপনি আসেননি কেন? আপনি এলে এটা ঘটত না।’ সুরঞ্জন দাসের কাছে হাতজোড় করে কিছু বোঝাতেও দেখা যায়।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ‘উদ্ধারে’ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থার খবর পেতেই উপাচার্যকে ফোন করেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এভাবে আটকে রাখা যায় না, প্রয়োজনে উপাচার্যকে পুলিশি সাহায্য নেওয়ার কথা বলেন তিনি। কিন্তু রাজ্যপালের পুলিসি সাহায্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন উপাচার্য। তাঁর বক্তব্য ছিল, ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে।