নিজস্ব প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে শনিবার কোভিড–১৯ পরীক্ষা মূল্যের ঊর্ধসীমা বেঁধে দেওয়া হল। কোভিড–১৯ পরীক্ষার জন্য দেশের কোনও ল্যাবরেটরি ৪৫০০ টাকার বেশি রোগী বা তার পরিবারের কাছ থেকে নিতে পারবে না। করোনা প্রকোপের সঙ্গে সঙ্গেই মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের কালোবাজারি বৃদ্ধি পাওয়ায় একাধিকবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। শনিবারের নির্দেশিকা সেই সতর্কতারই সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ। যে ল্যাবরেটরিগুলি এনএবিএল দ্বারা স্বীকৃত তারাই কোভিড–১৯ নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম। ভারতীয় মেডিকেল কাউন্সিলের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে যে সমস্ত বেসরকারি ল্যাবরেটরিকে কোভিড–১৯ পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। নির্দেশ অমান্য করলে অমান্যকারীদের বিরূদ্ধে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সুপারিশক্রমে কোভিড–১৯ পরীক্ষার ঊর্ধসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়। এই খরচের মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক সন্দেহভাজনদের স্ক্রিনিং টেস্টের জন্য ১৫০০ টাকা এবং নিশ্চিত আক্রান্তের জন্য ৩০০০ জন্য টাকা। যদিও বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলির উদ্দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অথবা ভর্তুকি মূল্যে নমুনা পরীক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়েছে ভারতীয় মেডিকাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে।
রোগীর নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও যথাযথ সুরক্ষা ও নিরপত্তা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় মেডিকাল কাউন্সিলের তরফে। কোভিড–১৯–এর নমুনা সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন স্থান নির্বাচন বাঞ্ছনীয় বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। আক্রান্ত রোগীর ছোঁয়াচ থেকে অন্যদের রক্ষা করার জন্য রোগীর বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারণ ল্যাবরেটরিতে পৌঁছতে গেলে রোগীকে যে স্থানীয় যানবাহন ব্যবহার করতে হয় তার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
কোভিড–১৯ নমুনা পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট ল্যাবরেটরির সমস্ত কর্মীকে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে হবে এবং সমস্ত জৈব ও অজৈব আবর্জনা জাতীয় নির্দেশিকা মেনে নষ্ট করতে হবে। কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ল্যাবরেটরি কোভিড–১৯–এর জন্য নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে না। ভারতীয় মেডিকেল কাউন্সিল থেকে প্রাপ্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর ল্যাবরেটরির সমস্ত বিজ্ঞাপন ও রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। নমুনা পরীক্ষা শুরু করার আগে ও পরে সমস্ত রিপোর্ট ও রোগী সম্পর্কে সমস্ত তথ্য মেডিকেল কাউন্সিলের সদর দফতরে পাঠাতে হবে।
কোভিড–১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে কেন্দ্র ও সমস্ত রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা নেওয়া সত্বেও বেড়ে চলেছে সংক্রামিতের সংখ্যা। আজ রবিবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘জনতা কারফিউ’। তারই মধ্যে নতুন সংক্রামিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই জরুরি সময়ে কোভিড–১৯ সংক্রমণ রুখতে সরকারের তরফে পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্দেশিকায় অদলবদল বা সম্পূর্ণ নতুন নির্দেশিকা জারি হতে পারে বলে জানানো হয়।