নিজস্ব প্রতিনিধি, বারুইপুর: বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের মধ্যে মদ্যপ যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে মদ্যপ যুবকদের হাতে আক্রান্ত হলেন বারুইপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর দীপঙ্কর দাস। অভিযোগ, পুলিসের লাঠি কেড়ে নিয়ে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে তাঁর মুখে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারে মদ্যপ যুবকেরা। পাশে থাকা সহ পুলিস কর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিস অফিসারকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। চোখের নিচে ও মুখ মারাত্মক ভাবে ফুলে যায় সাব ইন্সপেক্টর দীপঙ্কর দাসের। ঘটনা বুধবারের। খবর পেয়েই বারুইপুর এস ডিপিও অভিষেক মজুমদার, বারুইপুর থানার আই সি দেবকুমার রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে পৌঁছে মদ্যপ যুবকদের ছত্রখান করে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে আরও একজন কে ধরা হয়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বারুইপুর হাসপাতাল চত্বরে হাসপাতালের জরুরী পরিষেবা কেন্দ্রে চিকিৎসকরা আতঙ্কের মধ্যে থাকে। রোগীদের মধ্যেও ছড়ায় আতঙ্ক । রাতে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে নামানো হয়। আসে র্যাফ। ঘটনার জেরে পুলিস হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি মারুতি সহ বাইক বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাত ৮ টার পরে বারুইপুর কাছারি বাজার সংলগ্ন বাইপাসে। হরিহরপুর পঞ্চায়েতের যোগী বটলার শাজাহান লস্করদের সাথে খোদারবাজারের হিরা শেখের দলবলের মধ্যে বচসা থেকে সংঘর্ষ হয়। উভয় দলই মদ্যপ অবস্তায় ছিল। সেই সংঘর্ষ জড়ায় মল্লিকপুর কাজিপাড়ার আব্দুল সালামদের দলবল। উভয় পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে আহত হয় ৫ থেকে ৬ জন। ধারালো অস্ত্র,কাঁচের বোতল নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। এই গণ্ডগোলের জেরে আব্দুল সালাম তার ছেলে শেখ হায়দারকে নিয়ে রাত ১০ টার পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে এলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনেই অপর গোষ্ঠীর সাথে ব্যাপক মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তাঁদের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত সিভিক পুলিস গণ্ডগোল থামাতে গেলে সিভিক পুলিশদের মার খেতে হয় মদ্যপ যুবকদের কাছে।