ডেস্ক: গুজরাত রাজনৈতিক লড়াইয়ে মূল প্রতিপক্ষ দল যতই কংগ্রেস ও বিজেপি হোক না কেন, গুজরাত রাজনীতিতে এক্স ফ্যাক্টর হিসাবে একত্রে উচ্চারিত হয় তিন নাম হার্দিক-জিগনেশ-অল্পেশ। এদের মধ্যে জিগনেশ মেবানি ও অল্পেশ ঠাকুরের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। এদিকে সম্প্রতি হার্দিকও যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে ঠিক তখনই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছেন ওবিসি নেতা তথা কংগ্রেস এমএলএ অল্পেশ ঠাকুর। গুজরাতের লড়াইয়ের একদা সঙ্গী অল্পেশকে এবার একহাত নিলেন গুজরাতের জনপ্রিয় পতিদার নেতা হার্দিক। অল্পেশ যে কংগ্রেসের সঙ্গে দোষারোপের খেলা খেলছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি তার।
শনিবার সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অল্পেশ প্রসঙ্গে হার্দিক বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে থাকাকালীন সম্মান ও ক্ষমতা দুইই পেয়েছিলেন ওই বিধায়ক। কিন্তু সমস্যা হল উনি তা কীভাবে ব্যবহার করবেন সেটাই বুঝতে পারেননি। এখন দল ছেড়ে দোষারোপের খেলা খেলছে।’ পাশাপাশি, কংগ্রেসে যোগ দিলেও একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে লোকসভা নির্বাচনে লড়তে পারছেন না হার্দিক প্যাটেল। সে প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘আমি আদালতের নির্দেশকে মান্য করি। বিজেপি নেতারা যথেষ্ট চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে আমি এবার নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারি। তবে কংগ্রেস চায় আমাকে সাংসদে পাঠাতে। আমার বয়স এখন ২৫ সুতরাং নির্বাচন লড়ার আরও অনেক সুযোগ আমার নিশ্চয়ই থাকবে।’ তবে অল্পেশ কংগ্রেস ছেড়ে যে ধরনের মন্তব্য পেশ করছেন তা ঠিক নয় বলে জানতে ভোলেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে গুজরাতে দলিত আন্দোলনের জেরে প্রথম প্রকাশ্যে আসেন অল্পেশ ঠাকুর। তারপর থেকে গুজরাতে দলিত আন্দোলনের জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন ৩ ব্যক্তি অল্পেশ ঠাকুর, জিগনেশ মেবানি, ও হার্দিক প্যাটেল। যদিও, কোনও দলে যোগ দেননি ওই তিন নেতা। তবে ২০১৭ সালে প্রথম কংগ্রেসে যোগ দেন অল্পেশ। এরপর গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়কও হন তিনি। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে মাত্র ২ বছরের সম্পর্কের মধ্যেই তাদের মনোমালিন্যতা চলে আসে প্রকাশ্যে। এরপর দলে কোনও সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি কংগ্রেস ছাড়েন অল্পেশ।