মহানগর ওয়েবডেস্ক: ৩ অক্টোবরে দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এই সময় তিনি দেখা করবেন প্রবীন চিত্রপরিচালক শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে৷ উল্লেখ্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেসের জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিক তৈরি করছেন বেনেগাল৷ আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে এই সিনেমা তৈরি হচ্ছে। ইন্ডিয়া ইকোনমিক ফোরামের দুই দিনের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর ৫ তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন হাসিনা৷ পরের দিন ঢাকা ফেরার আগে হাসিনা দেখা করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও তিনি মিলিত হবেন। শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ তুলনামূলকভাবে দীর্ঘস্থায়ী হবে।
তাঁর বাবা তথা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের খুঁটিনাটি বহু বিষয়ের চলচ্চিত্রায়ণ কীভাবে পরিচালক বেনেগাল ভেবেছেন, হাসিনা তা জানতে আগ্রহী। প্রয়োজনে তিনি নিজেও কিছু পরামর্শ দিতে পারেন। এই সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখার দায়িত্বে রয়েছেন অতুল তিওয়ারি। হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় বেনোগলের সঙ্গে তিনিও উপস্থিত থাকতে পারেন। সিনেমা ও তার স্ক্রিপ্টে যাতে কোনো ভ্রান্তি না থাকে বাংলাদেশ তা নিশ্চিত করতে চায়। অতুল তিওয়ারিকে সব রকমভাবে সাহায্য করবেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক পিপলু খান। ২০১৮ সালে তিনি হাসিনার জীবন নির্ভর ঐতিহাসিক ডকুড্রামা ‘হাসিনা : আ ডটার্স টেল’ পরিচালনা করেছিলেন।তিন ঘণ্টার বঙ্গবন্ধু জীবন কাহিনি তৈরির আনুমানিক খরচ ৩৫ কোটি টাকা। এর ৪০ শতাংশ ভারতের দেওয়ার কথা।
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি তথ্যচিত্র দুই দেশের সহযোগিতা ও যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে। এই তথ্যচিত্রের পরিচালক হবেন একজন বাংলাদেশি। সহ পরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন একজন ভারতীয়।বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক পরিচালনার জন্য শ্যাম বেনেগাল ছাড়াও গৌতম ঘোষ ও কৌশিক গাঙ্গুলির নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বেছে নেয় বেনেগালকেই। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী এই প্রবীণ পরিচালক ২০০৪ সালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর বায়োপিক ‘দ্য ফরগটন হিরো’ পরিচালনা করেছিলেন।