ডেস্ক: মামলা পাল্টা মামলা পর আজ হাইকোর্টে ছিল পঞ্চায়েত মামলার শুনানি। কিন্তু বিজেপির তরফ থেকে কোনও আইনজীবী না থাকায় আজ শুনানি হল না হাইকোর্টে। আগামীকাল বৃহস্পতি হাইকোর্টে হবে এই মামলার শুনানি। তবে আজই পঞ্চায়েত মামলার রায় দেওয়ার কথা আছে সুপ্রিমকোর্টের তরফে। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য তথা রাজনৈতিক দলগুলি।
অন্যদিকে, গতকালই বিজেপি ও সিপিএইএমের তরফে সুপ্রিমকোর্টে দায়ের করা মামলার পাল্টা দিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে তৃণমূল। আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে গিয়েছে বিজেপি। সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট একটি মামলা দুটি জায়গাতে কখনই চলতে পারে না।’
নির্বাচন কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষণার পর মনোনয়নকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার জেরে সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন যেখানে বলা হয়, ৯ তারিখ সোমবার যেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল তা আরও একদিন বাড়াবে কমিশন। অর্থাৎ ১০ তারিখও মনোনয়ন জমা দিতে পারবে প্রার্থীরা। এর ঠিক পরেই মঙ্গলবার সকালে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। যেখানে আইনের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়। অর্থাৎ মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন বাড়ানো হবে না বলে, স্পষ্ট জানায় কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই পাল্টি খাওয়া নিয়ে সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যায় বিজেপি। সেই মামলাতে গতকালই নির্বাচন কমিশনের নতুন জারি করা এই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন জমাকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত হিংসার প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্ত হয়েছিল বিজেপি। সেই মামলায় সম্প্রতি রায় দেয় শীর্ষ আদালত। যেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনকে সমস্ত রকম ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। এবিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। একইসঙ্গে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ভোটে লড়ার ব্যবস্থা করার দেওয়া হয় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনকে। সেই শুনানির প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে মনোনয়নের জমা দেওয়ার জন্য এক দিন বাড়ায় কমিশন পরে ফের সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয় আইনত সমস্যার অজুহাতে। এরপর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মামলার ভিত্তিতে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, যেখানে নির্বাচন কমিশনকে ভোট করানোর জন্য সবরকম ক্ষমতা দিয়েছে সুপ্রিকোর্ট সেখানে কিভাবে আইনের অজুহাত দেয় কমিশন। এরপরই কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চ। এদিন সেই মামলার শুনানি থাকলেও বিজেপির তরফ থেকে কোনও আইনজীবী না থাকায় শুনানির দিন আরও একদিন পিছিয়ে দিল হাইকোর্ট।