ডেস্ক: দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে গতকালই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ১৪ মে একদফাতেই হবে ভোট এবং ভোটের ফল ঘোষিত হবে ১৭ মে। একদফা এই ভোটে প্রয়োজনীয় পুলিশ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে রাজ্যের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে রাজ্য। এরই মাঝে, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন থাকবে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
নির্বাচনের ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চেয়ে সরকারি কর্মচারি প্রিষদের তরফে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন দেবাশিস শীল। হাইকোর্টে দায়ের করা এই মামলায় তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের হাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮ হাজার পুলিশ রয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা রয়েছে ৫৮ হাজারেরও বেশী। তাহলে কিভাবে সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে? একইসঙ্গে নির্বাচনী কাজে গিয়ে কারও মৃত্যু হলে বা কেউ আহত হলে তাঁর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ও আহত হলে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন তিনি।
এই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের কাছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জানতে চান। যার উত্তরে IG আইনশৃঙ্খলা বলেন, ‘ভোটকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে সরকার। তাঁদের সুরক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, ‘মৌখিক কথাতেই শুধু হবে না। ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। এবং ৪ মে এই বিষয়ে লিখিত ভাবে আদালতকে জানাবে রাজ্য।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেছে সিপিএম ও পিডিএস। পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ডু জানিয়েছেন, তাঁদের দায়েয়র করা সেই মামলা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে আদালত। আগামী সোমবার সেই মামলার রায় দেবে আদালত। এদিকে, কালকের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত দলকে বৈঠকের জন্য ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ভোটের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে সেই জন্য ভিনরাজ্য থেকে পুলিশ আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে নবান্ন সূত্রে। সেইসঙ্গে, কারা দফতরের রক্ষীদেরও ভোটের নিরাপত্তার কাজে লাগানো হবে। কারাদপ্তর থেকে কাদেরকে ভোটের নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হবে তার তালিকা প্রকাশ করেছেন কারাদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অরুন কুমার গুপ্তা৷ তিনি জানান, কারাদপ্তরের ৩০ শতাংশ কর্মীকে ভোটের কাজে লাগানো হবে৷ এই প্রসঙ্গে জেল সুপারদের চিঠিও দিয়েছেন তিনি। ভোটের ৭দিন আগে থেকে ছুটি বাতিল করা হবে জেল কর্মীদের৷