মহানগর ওয়েবডেস্ক: প্রবল উত্তেজনায় ফুটছে মধ্যপ্রদেশ। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে বলা যেতে একপ্রকার ‘হোটেল রাজনীতি’ চলছে। বিজেপি হোক কী কংগ্রেস, কেউ কারও বিধায়কদের রাজ্যতেই রাখতে চাইছে না! সবমিলিয়ে এখন টালমাটাল পরিস্থিতি। তবে খাদের কিনারা থেকে কংগ্রেসের উঠে আসা যে সত্যিই চাপের তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়ার পর মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার যে মুহূর্তের মধ্যে পড়ে যেতে পারে তা বুঝে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও। তাই বাকি বিধায়কদের দিয়ে বাড়তি ভাবনা রাখতে হচ্ছে তাঁকে।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে মধ্যপ্রদেশ কোনও বিধায়কদের জন্য সুরক্ষিত নয়! নিজেদের মতো সুরক্ষিত জায়গায় নিজেদের বিধায়কদের পাঠিয়ে দিচ্ছে দলগুলি। যেমন, নিজেদের বিধায়কদের গুরুগ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেস ৯২ জন দলীয় বিধায়ককে ভোপাল থেকে জয়পুর পাঠাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সুতরাং, সরকার ভাঙা আর সরকার বহাল রাখার খেলায় মেতেছে মধ্যপ্রদেশ। তবে এই প্রেক্ষিতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বিজেপিই, কারণ তাদের হারানোর কিছু নেই। সেই ক্ষেত্রে বিস্তর চিন্তা নিয়ে মগ্ন কংগ্রেস সরকার।
গতকাল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একা দল ছাড়েননি, ছেড়েছেন আরও ২২ বিধায়ক। এতেই এক ধাক্কায় নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার। যা পরিস্থিতি তাতে নিজেই সরকার ভেঙে দিতে পারেন কমল নাথ। তথ্য বলছে, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট আসন মোট আসন ২৩০। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাই বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা ২২৮। ম্যাজিক ফিগার ১১৪। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। সে ক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার হয়েছে ১০৩। কংগ্রেস জোটের আসন ১০০। বিজেপির আসন ১০৭। সেক্ষেত্রে স্পষ্টভাবেই সরকার গড়ার পথে বিজেপি। ফলে মধ্যপ্রদেশের সরকার উল্টে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা বলা যেতে পারে।
এদিকে, সূত্রের খবর, আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যসভা নির্বাচনে সিন্ধিয়াকে প্রার্থী করে পাঠতে পারে বিজেপি। যা নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে এক হাইভোল্টেজ বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। সেই বৈঠকে সিন্ধিয়ার দলে যোগদান বিষয়ে এবং মধ্যপ্রদেশ দখলের রণনীতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।