ডেস্ক: বছর সাত আগে চার হাত এক হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমার জুনপুট কোস্টাল থানার মুড়াবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুদ্দিনের সঙ্গে ওই একই মহকুমার রামনগর থানার মান্দারপুর গ্রামের রিনা খাতুনের। গত ফেব্রুয়ারী মাসের ৯ তারিখ হঠাৎই শ্বশুড়বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন বছর ছাব্বিশের রিনা। সেই সময় তার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে রিনার গায়ে আগুন লাগিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে সামসুদ্দিন আর তার বাড়ির লোকেরা। সেই অভিযোগের জেরে পুলিশ সামসুদ্দিন সহ তার বাবা-মা ও তার ভাইকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার সময় রিনার চিকিৎসা চলছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন সময়েই সেখানে ১১ ফেব্রুয়ারী মারা যান রিনা। তারপরেই হাসপাতাল থেকে রিনার দেহ ছাড়িয়ে নিয়ে এসে মান্দারপুর গ্রামেই কবর দেয় তার বাপের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সামসুদ্দিনের আইনজীবিরা বিষয়টি আদালতে বিচারপতিকে জানান। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত বাধ্যতামূলক। অথচ তা না করেই রিনা বিবির দেহ কবর দেওয়া হয়।
অগত্যা বিচারপতি নির্দেশ দেন কবর থেকে দেহ তুলে তা ময়নাতদন্ত করার জন্য। সেই তদন্তের রিপোর্টেই কার্যত বোঝা যাবে রিনার মৃত্যু দুর্ঘটনা ছিল না পরিকল্পিত ঘটনা ছিল। সেটা বোঝা গেলেই সামসুদ্দিন, তার ভাই ও তাদের বাবা-মার জামিন সহ বিচার সংক্রান্ত বিষয়টির মীমাংসা হবে। বিচারপতির সেই নির্দেশ মেনে এদিন মান্দারপুর গ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে রিনার দেহবাশেষ তুলে তা পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।