ডেস্ক: মাস তিনেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়েই চার হাত এক হয়েছিল। পাত্র তখন সাবালক হলেও পাত্রী ছিল নাবালিকা। সেই বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকেই দুই বাড়ির তরফে আপত্তি থাকলেও পরে ছেলের বাড়ি থেকে সে বিয়ে মেনে নেওয়া হয়। মেয়ের বাড়ির তরফে তখন স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের না করার জেরে নাবালিকার বিয়ের জল থানা অবধি গড়ায়নি। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বালিকাবধূর। পণের দাবিতে শুরু হয়েছিল ওই বধূর ওপর স্বামী-শ্বশুড়-শাশুড়ির অত্যাচার।
এক মাস আগে ১৮ বছরে পা রাখেন ওই গৃধবধূ। তখন ওই বিয়ে মেনে নেওয়া নিয়ে মেয়ের বাড়ির তরফে ছেলের বাড়ির সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়। এরই মাঝে গত শুক্রবার শ্বশুড়বাড়ির এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগদান করে সেখানে একটু নাচানাচি করেছিলেন ওই বধূ। বিষয়টি চোখে পড়েছিল স্বামী-শাশুড়ির। সেখানেই তা নিয়ে শুরু হয় বাড়ির বউকে ধমক দেওয়ার পালা। রবি সকালে সেই গৃহবধূ স্বপ্না নস্করের ঝুলন্ত দেহ মিলল তারই শ্বশুড়বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং মহকুমার বাসন্তী থানার চড়াবিদ্যা গ্রামে। ঘটনার জেরে স্বপ্নার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বপ্নার স্বামী সুবীর নস্কর ও তার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। সুবীর দাবি করেছে অশান্তির জেরে আত্মহত্যা করেছে স্বপ্না। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ স্বপ্নার বাপের বাড়ির লোকেরা। তাদের দাবি স্বপ্নাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।