মহানগর ওয়েবডেস্ক: দিল্লির দাঙ্গায় প্রাণ হারানো গোয়েন্দা আধিকারিক অঙ্কিত শর্মাকে নাকি ৪০০ বার কোপানো হয়েছিল। তারপরে খুব কাছ থেকে মারা হয়েছিল গুলি। টানা দু’ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই নারকীয় অত্যাচার। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আরও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল, তৈরি হয়েছিল শঙ্কাও। কিন্তু ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে অন্যকথা। জানানো হয়েছে, ৪০০ বার নয়, অঙ্কিত শর্মাকে ১২ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল এবং তাঁর শরীরে ছিল ৫১টি ক্ষতচিহ্ন। এই রিপোর্ট আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অঙ্কিত শর্মার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়েছে ১২ বার। সবচেয়ে বড় আঘাত রয়েছে বাঁ পায়ের বাঁ দিকে। এছাড়াও থাই, নিতম্ব, পিঠ, বুক সব জায়গায় গুরুতর আঘাত করা হয় তাঁকে। আরও বড় তথ্য হল, কোপানোর চেয়ে বেশি তাঁকে মারা হয়েছে। শুধুমাত্র মারধরের ফলেই তাঁর ৩৩টি ক্ষত হয়েছে। এই মারধরের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা। দিল্লির চাঁদবাগ এলাকার ড্রেন থেকে অঙ্কিতের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বিজেপির থেকে দাবি করা হয় তাঁকে ৪০০ বার কোপানো হয়েছিল। এই নৃশংসতা দাবি করায় পরিস্থিতি আরও উস্কানিমূলক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সম্পূর্ণ উল্টো কথাই বলছে।
প্রসঙ্গত, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা নাগাদ বেরিয়েছিলেন অঙ্কিত। তাঁর বাবা রবীন্দ্র জানিয়েছিলেন, কিছু জিনিসপত্র কিনে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে বলেছিলেন অঙ্কিত। এরপর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির কাছেই একটি ড্রেন থেকে অঙ্কিতের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পরবর্তী সময়ে অঙ্কিত শর্মার পরিবারের জন্য এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরি জানিয়েছিলেন, দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা অফিসার অঙ্কিত শর্মার পরিবারকে এক কোটির ক্ষতিপূরণ তো দেওয়া হবেই। পাশাপাশি অঙ্কিতের পরিবারের একজনকে দিল্লি সরকারে চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।