Highlights
|
নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: ট্রেন থেকে বাস, টিভি থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, রাস্তায় রাস্তায় হোর্ডিং-সহ একাধিক উপায়ে চলছে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে সচেতন করছে এই ভাবেই। কিন্তু করোনা ভাইরাস সতর্কতার মাঝে বিজেপিতে যোগদান কর্মসূচি ও মাস্ক বিলিকে কেন্দ্র করে শতাধিক মানুষের জমায়েত ঘিরে প্রশ্ন তুলল রাজ্যের শাসক দল।
যেখানে করোনা সতর্কতায় রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই বহু লোকের জমায়েতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেখানে তারকেশ্বরের লক্ষ্মণকুঠিতে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর উপস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মীসভা, যোগদান পর্ব, মাস্ক বিলি অনুষ্ঠান ঘিরে শতাধিক মানুষের জমায়েত নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
আজ তারকেশ্বরের লক্ষ্মণকুঠিতে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। আগামী রবিবার ‘জনতা কার্ফু’ কীভাবে পালন করা হবে, তা নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তারকেশ্বর পুরসভার ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল টোটো ইউনিয়ন থেকে বেশ কিছু টোটো ও সমাজের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষ বিজেপি যোগদান করেন এদিন। বিজেপি’র দাবি, প্রায় ২৫০জন মানুষ আজ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এলাকার মানুষের মধ্যে মাস্ক বিলি করা হয়। বিজেপি নেতা নিজে কয়েকজনের মুখে মাস্ক পরিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষকে সচেতন করেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের জমায়েত নিয়ে কটাক্ষ করেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা।
তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতা ও পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত বলেন, করোনা সংক্রমণের জেরে যেখানে তারকেশ্বর-সহ বেলুড় মঠে জমায়েত বন্ধ করা হচ্ছে, তখন মানুষকে জমায়েত করে ঘৃণ্য রাজনীতি করছে বিজেপি। এটা বাংলার মানুষ দেখছে। এরা মানুষের জীবন নিয়ে ভাবে না। সংক্রমণের জন্য যখন জমায়েতের ওপর এত কড়াকড়ি, যেখানে তৃণমূল প্রায় সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রেখেছে, সেখানে বিরোধীদের এই কর্মসূচি মানুষের প্রতি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু অবশ্য বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘জনতা কার্ফু’ প্রোগ্ৰামের জন্য কিছু মানুষকে নিয়ে সভা করা হয়েছে। তবে জয়েনিংয়ের জন্য অনেক মানুষ চলে এসেছে কিছুক্ষণের জন্য। সংখ্যাটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। কিন্তু সভাতে পঞ্চাশ, ষাট জনের মতো লোক ছিল। তা ছাড়া শাসকদলের এখন ভাঙাহাট, লোক শাসকদল ছেড়ে হু হু করে বিজেপিতে চলে আসছে।
সেই সঙ্গে আসন্ন রামনবমী পুজো নিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, রামনবমী পুজোর মধ্যে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তবে আমরা মিছিলে অংশগ্ৰহণ করব, না হলে মিছিল পরে হবে। তবে পুজো হবে। সেটা ছোট করে হতে পারে, কিংবা কারও বাড়িতে হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মিছিল, জমায়েত পরে হবে।