ডেস্ক: অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির ক্ষেত্রে সর্বদাই কড়া নজর রাখে আমেরিকা। বিশেষ করে ভারতের মতো শক্তিধর দেশগুলি তো নজরে থাকই। তবে সে সব ভ্রুকুটিকে পাত্তা না দিয়েই ফের একবার রাশিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি পরমাণু সাবমেরিনের চুক্তি সই করার পথে দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই আরও একটি শক্তিশালী ডুবোজাহাজের উপস্থিতিতে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ভারতীয় নৌসেনার ক্ষমতা।
ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ মিসাইলের চুক্তি করতে পিছ পা হয়নি ভারত। সেই চুক্তি ছিল প্রায় ৫.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার যে ‘আকুলা-১’ শ্রেণির ডুবোজাহাজ ভারত ক্রয় করার পরিকল্পনা করছে, ভারতীয় মুদ্রায় তার দাম প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। জল থেকে শত্রু আক্রমণ ঠেকানো বা পরমাণু বোমা ছুড়তেও কোনও জবাব নেই এই সাবমেরিনের। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যেই রাশিয়া থেকে তৈরি হয়ে নৌসেনায় শামিল হওয়ার জন্য ভারতে পৌঁছে যাবে এই ডুবোজাহাজ। ডুবোজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে ১০ বছরের একটি চুক্তিও হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে ডুবোজাহাজটি ভারতে আসার পর টানা ১০ বছর পর্যন্ত এর রক্ষণাবেক্ষণ বা একে ব্যবহার করার প্রণালী শিখিয়ে দেবে সেই কোম্পানিই। ১০ বছর পর এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে পারবে ভারত।
ভারতীয় নৌসেনায় থাকা ডুবোজাহাজ ‘আইএনএস চক্র’-র বদলি হিসেবে নিয়ে আসা হচ্ছে এই অত্যাধুনিক মানের সাবমেরিনকে। গত বছর নভেম্বর মাসেই অবশ্য ভারতীয় নৌসেনার তরফে সর্বপ্রথম পরমাণু বোমাবাহী সাবমেরিন ‘আইএনএস আরিহান্ত’ তৈরির কথা ঘোষণা করে। অর্থাৎ আগামী সময়ে ভারতীয় সেনার তিনটি শাখাই পরমাণু বোমা ছুড়তে সক্ষম হয়ে যাবে। মাটি থেকে (অগ্নি মিসাইল), আকাশ থেকে (বোমারু বিমান), জলের মধ্যে থেকে (আইএনএস আরিহান্ত)। এরপর আবার বিদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি আকুলা শ্রেণির সাবমেরিন যদি ভারতীয় নৌসেনায় আসে, তবে নিঃসন্দেহে কয়েকগুণ ক্ষমতা বেড়ে যাবে ভারতীয় সেনার।