ডেস্ক: ক্রিকেটের ময়দানে স্ট্যাম্প মাইকে মহেন্দ্র সিং ধোনির সতির্থদের দেওয়া মজার মজার উপদেশ এখন অন্যতম খোরাক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হল, যখনই বিদেশি দেশগুলির সঙ্গে তিনি ম্যাচ খেলেন তখন বেশিরভাগ সময় হিন্দিতেই কমেন্ট চালাচালি করে থাকেন। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার সময় হিন্দির ব্যবহার করেন না তিনি, উল্টে তখন ইংরেজিই বেশি পছন্দ ক্যাপ্টেন কুলের। কারণ পাকিস্তানীরা হিন্দিতে যতটা সড়গড় ইংরেজিতে ততটা নয়।
হিসেবটা জলের মতোই স্বচ্ছ, প্রতিপক্ষের ভাষাটা আয়ত্তে আনতে পারলে বিজয়ের পথটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তা সেটা ক্রিকেটের ময়দানে হোক বা যুদ্ধের ময়দানে। যে কোনও যুদ্ধেই শত্রুপক্ষের ভাষা জানা থাকলে তাদের পরিকল্পনার আঁচ পেতে অনেকটা সুবিধা হয়ে যায়। এবার ঠিক এই পথে হেঁটেই চিন সেনাবাহিনীকে কুপোকাত করতে চাইছে ভারতীয় জওয়ানরা। লালফৌজের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে এবার কড়া ভাবে ভারতীয় সেনাদের চিনা ভাষা শেখার দাওয়াই দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
কিন্তু যেখানে অস্ত্রের জবাব অস্ত্রের মাধ্যমে দেওয়ার নিয়ম সেখানে চিনা ভাষা শেখার তাতপর্য কোথায়? ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্তার কথায়, এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনারা গোপনে আড়ি পেতে সহজেই চিনাদের ভাষা বুঝে ফেলতে সক্ষম হবে। আর ভারতীয় সেনার এই নতুন পদক্ষেপে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে চিন সেনাবাহিনীর কপালে।
জানা যায়, ডোকালাম সমস্যা চলাকালীন একবার যখন অরুণাচল সীমান্ত ডিঙিয়ে চিন সেনারা ভারতে ঢুকেছিল তখন নাকি তারা ঝরঝরে হিন্দিতে কথা বলেছিল। আর এই তথ্য জানতে পারার পরই নড়েচড়ে বসে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চিনারা যদি হিন্দি শিখে ফেলতে পারে তবে আমাদের জওয়ানদেরও ওদের ভাষা শিখে নিয়ে এগিয়ে থাকতে আপত্তি কোথায়? সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, চিনা ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে জওয়ানদের। আগামী একবছরের মধ্যেই নাকি শুদ্ধ চিনা ভাষা বলতে শিখে যাবেন ইন্দো-টিবেটান ফোর্সের সেনারা।