ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোটবন্দি এবং জিএসটির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনীতি। এরকমই আশঙ্কা প্রকাশ করা হল আমেরিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টে। মোদীর মার্কিন সফরকালে ‘ভাল বন্ধু’ আখ্যা দেওয়া ট্রাম্প সরকারের ত্রৈমাসিক আর্থিক রিপোর্টেই এবার বিদ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৭ সালের প্রথম তিন মাসে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই কম হয়েছিল।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের পর থেকে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণও যে বিপুলভাবে কমেছে সেকথা উল্লেখ করা হয় ঐ রিপোর্টে। এই ঘাটতির মূল কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ভারতের অর্থনীতিতে নোটবন্দি এবং জিএসটির মতো ধাক্কাকে। সেখানে জানানো হয়েছে, পরিকাঠামোগত অর্থনৈতিক সংষ্কারের কারণেই ভারতের বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে। এছাড়াও দ্রুত নীচের দিকে নামতে থাকা ভারতের জিডিপি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ঐ রিপোর্টে। কারণ, নোটবন্দির আগে পর্যন্ত ৯০ শতাংশ লেনদেনই হতো টাকার মাধ্যমে। সেই টাকার বেশিরভাগটাই বাজার থেকে উঠে যাওয়ার ফলে ছোট-বড় ব্যবসায়ী ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের রিপোর্টের মাধ্যমে জিএসটি নিয়েও একাধিক নেতিবাচক সংকেত পাওয়া গিয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ২০১৭ সালে ১ জুলাই থেকে গোটা দেশে এক দেশ এক কর পরিষেবা (জিএসটি) চালু করেছে ভারত। এতে করব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত সরল হলেও, বাজারে এর ফলে অনিশ্চয়তা এবং অচলাবস্থার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের ভয়ে ২০০৭ সাল থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য আমেরিকার থেকে আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। যার মধ্যে সামিল ছিল পোলট্রি মাংস, ডিম এবং শূকর। ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়েও বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।