ডেস্ক: মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল নোয়াপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচন। কিন্তু গুজব ছড়ানোর জন্য উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, আর সেই পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় নোয়াপাড়া জুড়ে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া বড় কোনও অশান্তির খবর এখনও মেলেনি এখানে। কিন্তু আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হয় যে, ‘১৪ নং ওয়ার্ডের ৫৭ নং বুথে গুলিবিদ্ধ যুবক’। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের ছবিও পোস্ট করা হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় পুলিশবাহিনী। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় গণ্ডগোলের লেশমাত্র নেই। ফলে পরিস্কার হয়ে যায় চক্রান্ত করে গুজব ছড়াতেই এমন পোস্ট দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অলোক দাশগুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অন্য জায়গার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কে এমন ছবি পোস্ট করল।’
শেষ পাওয়া খবরে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নোয়াপাড়া বিধানসভায় ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি তাণ্ডবের অভিযোগ তুলে বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে অবরোধে নামে বামেরা। এছাড়াও নোয়াপাড়া ৪০ নম্বর বুথে রিগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দিকে। বিজেপির অভিযোগ, এক বহিরাগত ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ভোট করানো হয়। পূর্ণাঙ্গ ঘটনার ভিডিও করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস প্রার্থী গৌতম বসু পুনর্নিবাচনের দাবি জানিয়ে বলেছেন, এলাকায় ভোট লুঠ করা হচ্ছে। তাই কমিশনকে ফের নির্বাচন করার কথা ভেবে দেখতে বলেছেন তিনি।
অন্যদিকে পলতার ১৪৪, ১৪৭, ১৪৮, ১৫৫, ১৫৬ বুথে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপি ও সিপিএম এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তুলে বলা হয় যে, বুথ থেকে মেরে বের করে দেওয়া হচ্ছে। ভোট চলাকালীন আজ আবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাম প্রার্থী গার্গি চট্টোপাধ্যায়। গারুলিয়া গার্লস হাইস্কুলের বুথ থেকে ভোট দিয়ে বেরনোর সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।