মহানগর ওয়েবডেস্ক: মারণ নোবেল করোনাভাইরাস চিন থেকে ছড়িয়ে পড়লেও ইউরোপে তা যে এইরকম ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তা হয়তো কেউই ভাবেনি। ইতালির পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে হলফ করে বলা যায় এখন ইউরোপে হচ্ছে নোবেল করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার। ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা থেকে মৃত্যুর সংখ্যার পরিসংখ্যানে এখন গোটা পৃথিবীর শীর্ষে রয়েছে ইতালি। মৃত্যুমিছিলে চিনকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে তারা। এদিন ভাইরাসে সংক্রমণে মৃত্যুর রেকর্ড করেছে ইউরোপের এই দেশ। একদিন ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ৬২৭ জনের।
গতকালই মৃত্যুর সংখ্যায় চিনকে টপকে গিয়েছিল ইতালি। এদিন আর কাউকে টপকানোর নয় নিজের রেকর্ড যেন নিজেই ভাঙল তারা। চিনা ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এবং মৃত্যু এই দেশেই। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৩২। একই সঙ্গে গোটা ইউরোপ জুড়ে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৫০০০।
ইতালিতে এই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দেশে মহিলাদের থেকে বেশি সংক্রামিত হচ্ছেন পুরুষরা। এর কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে অধিকাংশ ছেলেদের বয়স মেয়েদের থেকে অনেক বেশি। সেই কারণেই তারা এই মারণ কোন ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। যতজন পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৪ শতাংশ এর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে যতজন মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ৫ শতাংশ মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চিনের উহান প্রদেশ থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের পিছনে চিনের হাত দেখছে অনেকেই। ঘটনার জেরে রীতিমতো বাকযুদ্ধে নেমেছে চিন ও আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতির মাঝে ফের একবার চিনকে একহাত নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরাসরি চিনের দিকে আঙুল তুলে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘চিনের ভুলের মাসুল গুনছে বিশ্ব, করোনার জন্য দায়ী ওরাই’।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ‘করোনা ভাইরাসের বিষয়টিকে পুরোপুরী চেপে গিয়েছিল চিন। যদি চিন বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই সবাইকে অ্যালার্ট করত তাহলে একটা ক্ষেত্রের মধ্যেই এই ভাইরাসকে শেষ করে দেওয়া সম্ভব হত। গোটা বিশ্বে এর ধ্বংসলীলা রোধ করা সম্ভব হত।’ গোটা বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের জন্য চিন দায়ী বলেও অভিযোগ করেন তিনি।