মহানগর ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা ও তার পরবর্তী ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, সবমিলিয়ে যাদবপুর কাণ্ড এখন সারা দেশেই চর্চিত। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে আর ভবিষ্যতে না ঘটে তার লাগাম টানতে বেনজির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সব ঠিক থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের সভা করার ওপর বিধিনিষেধ চাপানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কোনও রাজনৈতিক সভা বা নেতা নেত্রীদের নিয়ে কোনওরকম রাজনৈতিক কার্যকলাপ করা যাবে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, এমন বিধি আনতে তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের যে কোনও অনুষ্ঠান তো করা যাবেই না, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট করলেও করা হবে এফআইআর। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভিডিয়োগ্রাফার নিয়োগ করে সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার চেষ্টা করবে। তবে একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকর করবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, কারণ ১০ দিনের মাথায় পুজো। তাই তার আগে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেবে না তারা। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলেই ধারণা।
এবিভিপি আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সু্প্রিয় আসা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তী সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধড়কর খোদ এসে বাবুলকে ‘উদ্ধার’ করে নিয়ে যান। পাশাপাশি, সরকাররে সমালোচনা করে মন্তব্যও করেন। এই নিয়ে রাজভবন-নবান্ন সংঘাতও হয়। রাজ্যপালের মন্তব্য সমর্থন করতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাবুলের নিগ্রহের ঘটনার থেকেও বেশি সমালোচিত হয়েছে এবিভিপি-র তাণ্ডব।