মহানগর ওয়েবডেস্ক: রাহুল গান্ধীর খুব কাছের বলেই জানা যেত তাঁকে। সেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াই নাকি মাসের পর মাস চেষ্টা করেও রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, কারণ জ্যোতিকে অনুমতিই দেওয়া হয়নি! এমনই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ভাইপো তথা ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদ্যুৎ মাণিক্য দেববর্মা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও পারেনি সিন্ধিয়া। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সময়ই দেওয়া হয়নি তাঁকে।
দেববর্মার কথায়, এটা তিনি খুব ভাল করেই জানেন যে, জ্যোতিরাদিত্য রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন ভীষণভাবে। কয়েকদিন নয়, বহু মাস ধরেই তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু কোনওরকম সময় তাঁকে দেওয়া হয়নি দল বা খোদ রাহুল গান্ধীর তরফেও। জ্যোতিরাদিত্যের ভাইপোর প্রশ্ন, যদি রাহুল গান্ধীই তাঁদের কথা না শুনতে চান, তাহলে তাঁদের দলে আনা হয়েছিল কেন? উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই ত্রিপুরা কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেছেন প্রদ্যুৎ মাণিক্য দেববর্মা।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘসময় ধরে তিনি জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং তাঁকে সিন্ধিয়া জানিয়েছিলেন যে, বিগত কিছুমাস ধরেই তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাঁকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়টা তাঁকেও ভীষণভাবে ভাবিয়েছিল বলে জানিয়েছেন দেববর্মা। তাঁর মতে, এইভাবে নতুন প্রজন্মের নেতাদের দাবিয়ে রাখায় একটা প্রয়াস চলেছে এবং রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরবর্তী সময় থেকেই এটা বেশি হয়েছে। হঠাৎ করেই বিভিন্ন বিষয় তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না বলেও দাবি করেছেন প্রদ্যুৎ দেববর্মা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে জানান, কংগ্রেসের থেকে মানুষের হয়ে কাজ করতে তিনি পারছেন না। সেই কারণেই এই পদত্যাগ। অন্যদিকে, ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বহিষ্কার করেছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, আজই হয়তো জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এবং তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করা হতে পারে। তিনি ভোপাল থেকে মনোনয়ন জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে।