নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বেনজির ঘটনা ঘটে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গ্রাউন্ডে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই যার প্রতিবাদ করেন মমতা। সরকারি অনুষ্ঠানে শালীনতার প্রশ্ন তুলে ঘটনার নিন্দা করে তিনি কোনও বক্তব্য না রেখে নিজের আসনে বসে পড়েন।
এই ঘটনার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্য জুড়ে। বিভিন্ন মহল থেকে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। বাম-কংগ্রেসের তরফ থেকেও ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এবার এই ঘটনার জন্য অন্যরকম ভাবে প্রতিবাদ জানালেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। তিনি একটি ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করে প্রতিবাদ করেছেন এই ঘটনার। রবিবার তিনি একাই প্রতিবাদী পোস্টার নিয়ে গড়িয়াহাটের মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার এই প্রতিবাদকে তিনি ‘সত্যাগ্রহের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
গতকাল রাতে ফেসবুকে ঘটনার নিন্দা করেছিলেন তিনি। একটি পোস্টে তিনি মমতার প্রতিবাদকে শাবাস জানিয়েছিলেন। তারপর আজ রবিবার পথে নেমে তিনি অন্যরকম ভাবে প্রতিবাদে শামিল হন। তার হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ছিল ‘জয় বাংলা’। বেশ কিছুক্ষণ তিনি একাই গড়িয়াহাটের মোড়ে এইভাবে প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে পথচলতি কিছু মানুষ তাঁর সঙ্গে শামিল হন। এরপর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশ। যে যার মতো কথা বলতে পারেন ঠিকই। কিন্তু নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়ায় যা হল সেটা ফ্যাসিস্টদের আচরণ। এই বাংলায় অন্য কোনও কিছুর জয় নয়, বাংলার জয় হবে। আমাদের এই প্রতিবাদ ‘সত্যাগ্রহের’ মতো।
উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ থাকাকালীন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে একাধিকবার দলের সঙ্গে তাঁর মতান্তর হয়। তারপর তিনি আর তৃণমূলের টিকিটে কখনও প্রার্থী হননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই মধুর। একুশে জুলাই-এর মঞ্চে তিনি প্রতিবার নিয়ম করে হাজির হয়ে গান করেন। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এদিন তিনি এভাবেই একা পথে নামেন।