নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: এবার তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বেনজির আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁকে কার্যত ‘গরু চোরের’ সঙ্গে তুলনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি অভিষেকের উদ্দেশে বলেন, ‘ ‘দু’জন পাপ্পু রয়েছেন। একটি দিল্লিতে, আর এক জন পশ্চিমবঙ্গে। দিল্লির পাপ্পু ‘বড়’ আর পশ্চিমবঙ্গের পাপ্পু ‘ছোট’। ছোট পাপ্পু ‘গরু ডালো, সোনা আয়েগা’ তে বিশ্বাসী।” পরে তিনি অভিষেকের নাম না করে তাঁর উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, ‘গরু চোর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন কখনও? অথচ তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।‘
পাশাপাশি নদিয়ার পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, ‘যে সব পুলিশ আধিকারিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাড়ির আঁচল ও চপ্পল ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা সাবধান। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেই সব পুলিশ আধিকারিক জেলের মধ্যে থাকবেন।‘
৮ অক্টোবর ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চা। এই নিয়ে শুক্রবার নদিয়ার চাকদা চৌরাস্তায় একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বিজেপি নেতা মুকুল রায়, যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, শুভ্রাংশু রায়-সহ বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘বাংলার গণতন্ত্র ফেরত দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আজ তৃণমূলের কথা শোনার কোনও লোক নেই। প্রতিটা দেওয়ালে লেখা হয়ে গিয়েছে ২০২১- এর ভবিষ্যৎ।‘ কৃষি বিল নিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষি বিল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজ্য বাধা দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু কৃষকরাই এই বিল অনুমোদন করেছেন। ফলে এই বিল ঐতিহাসিক।‘
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘বদলা নয়, বদল চাই’। আর এখন আমাদের স্লোগান হচ্ছে,’ আগে বদলা চাই, তারপর বদল’। বদল হলে বদলা কার সঙ্গে নেব। তাই আগে বদলা দরকার। বদলা নেওয়ার জন্য সবাই সংঘবদ্ধ হন।‘’