মহানগর ওয়েবডেস্ক: শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়ে গেল রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন। শনিবার রাত সোওয়া আটটা নাগাদ আলিপুর জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত রায় ঘোষণা করে জানালেন, রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হল না। এই রায়ে আরও বড় বিপাকে পড়লেন পুলিশকর্তা। আদালত আগেই জানিয়েছিল, কোনও পরোয়ানা ছাড়া রাজীবকে গ্রেফতার করা যাবে। এই পরিস্থিতিতে গ্রেফতারির ভয় কিছুতেই এড়াতে না পেরে আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমার। সেই আগাম জামিনের আবেদনের রায়দান হল।
হাইকোর্ট গত শুক্রবার রাজীব কুমারের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছিল আদালত। তারপর তাঁর পিছনে আদাজল খেয়ে নেমেছে সিবিআই। দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে বিশেষ দলও এসেছে কলকাতায়। কিন্তু রাজীবের খোঁজ কেউই এখনও দিতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে আলিপুর আদালতে রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। সূত্রের খবর, টানা ৪৫ মিনিট ধরে রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধানের আগাম জামিনের স্বপক্ষে নানা যুক্তি দিয়েছেন রাজীব কুমারের আইনজীবী। বিচারককে বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন তাঁর মক্কেলের আগাম জামিন প্রয়োজন। তাঁর বক্তব্য শোনার পর রাজীব কুমারকে কতগুলি নোটিস পাঠানো হয়েছিল সেই বিষয় জানতে চান বিচারক। এরপর সাময়িক বিরতি হয়, পরবর্তী সময়ে সিবিআই-এর বক্তব্য শোনে আদালত।
সিবিআই সূত্র আগেই জানিয়েছিল, গত শুক্রবার তাঁর গ্রেফতারির উপর থেকে সমস্ত রকম রক্ষাকবচ তুলে নিয়ে, তদন্তে সবরকম সহযোগিতার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দেওয়ার পর থেকেই, তার ফোনটি সুইচড অফ করে রাখা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর করলে জানা যায়, ছুটিতে রয়েছেন রাজীব কুমার। গত শুক্রবার থেকে লাগাতার তাঁকে ফোনে ধরার চেষ্টা করলেও বন্ধই থেকে গিয়েছে রাজীব কুমারের মোবাইল নম্বরটি।
অন্যদিকে, রাজীব কুমারকে প্রায় গোটা শহরের আনাচে কানাচে খুঁজে বেড়াচ্ছে সিবিআই। হোটেল থেকে বিমানবন্দর, রান্নাঘর থেকে আইসিইউ, সব জায়গায় হানা দিচ্ছে তারা। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রাজীবের স্ত্রীকেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। আজই আবার পূজালির এক বেসরকারি হাসপাতালে রাজীবের খোঁজে যান সিবিআই গোয়েন্দারা।