মহানগর ওয়েবডেস্ক: গতকাল এবিভিপি আয়োজিত নবীন বরণ উৎসবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয় ও অগ্নিমিত্রা পল আসার পরবর্তী সময়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা নিয়ে বিতর্ক চলছে এখনও। গতকালের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতবিরোধ হয়ে গিয়েছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে জল যে আরও অনেক দূর গড়াবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই প্রেক্ষিতে গতকালের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করল রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা।
যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে সিটিজেন স্পিক ইন্ডিয়ার ব্যানার প্রকাশিত হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে অনুপম রায়, অপর্ণা সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, চিত্রা সরকার, কৌশিক সেন, মুদার পাথেরিয়া, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পিয়া চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, রূপম ইসলাম, রূপসা দাশগুপ্ত, শক্তি রায়চৌধুরী, সোহাগ সেন, শুচিস্মিতা দাশগুপ্ত ও সুদেষ্ণা রায়ের। গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা নিয়ে যে গণ্ডগোল এবং হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তাঁরা বিরাট চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন। একইসঙ্গে এবিভিপির তরফে যে ভাঙচুর এবং আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটেছে তারও নিন্দা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের তর্কবিতর্কের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি থাকলে এই পরিস্থিতি হত না, এই পরিস্থিতির জন্য তিনিই দায়ি। এই বিষয় নিয়েও অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ বিদ্বজ্জনেরা। তাঁদের কথায়, যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে এহেন আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে আসরে নেমেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এবিভিপি। সেই অনুষ্ঠানেই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যোগ দিতে আসেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পা দেওয়া মাত্রই উত্তেজনা ছড়ায় ব্যাপকভাবে। বিরোধী গোষ্ঠীর একদল পড়ুয়া তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, বাবুলকে রক্ষণের মধ্যে নিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ধাক্কা মারা থেকে শুরু করে জামা ছেঁড়া, চরমভাবে হেনস্থার শিকার হন তিনি।