নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বছরের শেষে নিউজলপাইগুড়ি থেকে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করতে চাইছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। তার জন্যই বুধবার ট্রায়াল রানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিন গুঞ্জরিয়া থেকে নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনের ইয়ার্ড অবধি একটি ইঞ্জিন চালিয়ে আনা হয়। ইঞ্জিনের ভেতরেই ছিলেন রেলের বৈদ্যুতিক বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই ইঞ্জিন চালানো হয়। এদের রিপোর্টের ওপরই নির্ভর করছে ডিসেম্বর মাস থেকে ট্রেন চালানো যাবে কিনা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন ট্রায়াল রান সফল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল অনেকদিন ধরেই বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করতে চাইছে। কিন্তু নানাবিধ কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এবার তারা বদ্ধপরিকর ডিসেম্বর থেকেই তারা এই ট্রেন চালু করার বিষয়ে। আর তাই দ্রুত তারা পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালিয়ে দেখল এদিন। সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে এসে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায় বলেই গিয়েছিলেন, সেফটি কমিশন সবুজ সংকেত দিলেই আমরা এই ট্রেন চালাব। এরপরেই এদিন গুঞ্জরিয়া থেকে সকালে গাইসাল ও মালদা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালানো হয়।
এরপর বিকেলবেলা গুঞ্জরিয়া থেকে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত ট্রেন চালানো হয় বৈদ্যুতিক বিভাগের প্রোজেক্ট ডিরেক্টরের উপস্থিতিতে। তাঁরাই চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন রেলকে। এরপরেই রেল সিদ্ধান্ত নেবে তারা ডিসেম্বর থেকে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালাবে কিনা। এই ট্রেন চালু হলে দ্রুত কলকাতা যাওয়া যাবে। প্রথমে হাওড়া পর্যন্ত যাওয়া যাবে এরপর শিয়ালদহ পর্যন্তও যাওয়া যাবে। আপাতত বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানোর জন্য দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। এদিকে এদিন সন্ধ্যায় ওই ইঞ্জিনটি গুঞ্জরিয়া থেকে নিউজলপাইগুড়ি পৌঁছয়।
ইয়ার্ডে দাড়িয়েই চিফ প্রোজেক্ট ডিরেক্টর (বৈদ্যুতিক বিভাগ) রাজেশ চৌধুরী বলেন, ‘খুব ভালভাবে ট্রায়াল হল। কোনও অসুবিধা নজরে পড়েনি। প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর মতো পরিস্থিতি রয়েছে। শুধু বৈদ্যুতিক লাইন ইয়ার্ড থেকে প্ল্যাটফর্ম অবধি নিয়ে যাওয়া বাকি। ওটা অল্প কাজ। তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু মালগাড়ি চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই। তা চালু করতে আরও দু’মাস সময় লাগবে। কারণ যে লাইন দিয়ে মালগাড়ি চলে, সেই লাইন এখনও বৈদ্যুতিক হয়নি। কিন্তু আমাদের এদিনের ট্রায়াল পুরোপুরি ভাবে সফল। আর একটি পরীক্ষা বাকি থাকল। তা সেফটি কমিশন করবে।