ডেস্ক: লড়াইয়ের তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রের সিবিআই, এনআইএর মতো বাঘা বাঘা তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। কিন্তু সবাইকে পিছনে ফেলে সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিলেন লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারী অফিসার অক্ষয় সাহা। শুধু তাই নয়, পরের স্থানটাও নিজেদের দখলে রাখল বাংলা। ওই লড়াইয়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ইন্সপেক্টর অনুপম চক্রবর্তী। ডেটা সিকিউরিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (DSCI -NASSCOM) এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডে জোড়া সম্মান পেয়ে বেশ খুশি কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা।
কিন্তু কি এই সম্মান? জানা গিয়েছে, গোটা দেশের সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করা তদন্তকারীদের এই সম্মান দেয় দিল্লির এই সংস্থা। প্রতিবছরের মতো এবছরও দিল্লিতে আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের যেখানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশের সাইবার বিভাগ সহ সিবিআই ও এনআইএর মতো সংস্থার তদন্তকার অফিসাররা। এবারে এই বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন ৬৭ জন প্রতিযোগী তবে সবাইকে পিছনে ফেলে সেরা দুইএ উঠে এল বাংলা। শুধু তাই নয়, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বিভাগে দ্বিতীয় স্থানে আছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানা। সবমিলিয়ে বাংলার জন্য এ এক বড় সাফল্য। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতাতে কিডনি কেনা বেচার প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করার ফলে এই সাফল্যের পুরষ্কার ওঠে অক্ষয় সাহার হাতে।
উল্লেখ্য, এই সাফল্য এই প্রথমবার নয়, এর আগেই একবার এই সাফল্য পেয়েছিল কলকাতা তবে সেটা ৪ বছর আগে ২০১৪ সালে। সেবার কলকাতা সাইবার ক্রাইম থানার প্রেমজিত চৌধুরি সবাইকে পিছনে ফেলে ছিনিয়ে নেন সেরার পুরষ্কার। দীর্ঘ ৪ বছরের খরা কাটিয়ে আরও ফের সাফল্য পেল এই রাজ্যের পুলিশ।