মহানগর ওয়েবডেস্ক: ধর্ষণের মামলায় আগেই দোষী সাবস্ত্য হয়েছিলেন বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। এবার ধর্ষিতার বাবাকে খুন করার দায়ে আরও ১০ বছরের জেলের সাজা শোনাল আদালত। ২০১৭ সালে উন্নাওয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে জেলেই ওই ধর্ষিতার বাবাকে মেরে ফেলে এই বিজেপি বিধায়ক। এদিন কুলদীপ সিং সেঙ্গারের ভাই অতুল সেঙ্গারকেও একই মামলায় ১০ বছরের জেল সাজা শুনিয়েছে আদালত। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ১০ লক্ষ টাকাও দিতে হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি আদালত।
শুধু কুলদীপ বা তার ভাই নয়, ধর্ষিতার বাবার নামে ভুয়ো অস্ত্র মামলা দেওয়ায় দুই পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। আপাতত ওই দুই পুলিশকর্মী জামিনে মুক্ত। এদিন সাজা ঘোষণার সময় বিচারপতি নির্যাতিতার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্যাতিতা নিজের বাবাকে হারিয়েছেন। ঘরেও ফিরতে পারছেন না। বাড়িয়ে চারজন শিশু রয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনই মেয়ে। সকলেই নাবালক।’ সেই কারণে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান বিচারপতি।
নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই যাবজ্জীবন সাজা কাটছেন কুলদীপ সিং সেঙ্গার। নির্যাতিতার পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ পেয়েছেন। এর মধ্যেই নতুন করে নির্যাতিতার খুনের মামলায় ১০ বছরের সাজা দেওয়া হল তাকে। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মুখ বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁর বাবাকে ষড়যন্ত্র করে খুন করে কুলদীপ।
গতবছর ৩ এপ্রিল কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই নির্যাতিতার বাবাকে ঘেরাও করে শশী প্রতাপ সিং, কুলদীপের ভাই অতুল সহ বাকিরা। সেখানে তারা ওই ব্যক্তিকে ব্যাপক মারধর করে প্রায় আধমরা করে ফেলে। পরে উল্টে তারই নামে পুলিশে মামলা দায়ের করে। জানা গিয়েছে, এই গোটা ঘটনায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন কুলদীপ সেঙ্গার। থানায় এবং পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল থেকেও নির্যাতিতার বাবা বেঁচে আছেন নাকি জানতে খোঁজ নেয় বহিষ্কৃত এই বিজেপির বিধায়ক।