ডেস্ক: কর্ণাটকে বিধানসভা দখল করার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গিয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের। কিন্তু সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করা শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মন্ত্রীমণ্ডল বিভেদ নিয়েও দ্বন্দ্ব চোখে পড়ার মতো। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী কংগ্রেসের প্রতি তাঁর নমনীয়তা আশ্চর্যজনক ভাবে বাড়িয়ে চলেছেন। কংগ্রেসের প্রতি তাঁর এই পঞ্চমুখ প্রশংসাও তুলে দিয়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন। কুমারস্বামির এই ‘অতি নমনীয়’ মনোভাব তাঁর সুপরিকল্পিত কূটনীতির বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যাতে ভবিষ্যতে এই জোট সরকার কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে তার দায় কংগ্রেসের উপরই দিতে পারেন তিনি।
কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কুমারস্বামি প্রথম থেকেই বেশিরভাগ কাজের জন্যই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছ থেকেই পরামর্শ নিচ্ছেন। ক্যাবিনেটে মন্ত্রীত্ব বণ্টন থেকে শুরু করে কৃষি ঋণ মকুব, সব কিছুতেই রাহুলের কাছেই হাত পাতছেন কুমারস্বামি। দিন কয়েক আগেই তিনি বলেন, রাজ্যের জনগণের ভোটে নয়, বরং কংগ্রেসের কৃপায় ক্ষমতায় এসেছেন। এখানেই সাফ হয়ে যায় কংগ্রেসের প্রতি কুমারস্বামির অতি ভক্তি। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার জন্য তিনি রাহুলের কৃপাকেই এগিয়ে রেখেছেন।
কুমারস্বামির এই বয়ানে রাজনীতির কিছু সংখ্যক পণ্ডিতদের অনুমান, নিজের ঘাড় বাঁচিয়ে রাহুলের কাঁধে রেখে বন্দুক ফাটাতেই এই ফর্মুলা আপন করেছেন কর্ণাটকের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত তিনি এমন পরিস্থিতি তৈরি চেষ্টা করছেন যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে। এর দ্বারা জোট সরকারে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে রাহুলকে ‘বলির পাঁঠা’ করতেই এই ফর্মুলায় চলছেন কুমারস্বামি।