নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপিকে মিথ্যাচার, বিভেদ, বিদ্বেষ ও ঘৃণার রাজনীতির আতুঁড়ঘর বলে অভিহিত করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির নামে ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের পথে চলেছেন বিজেপির বন্ধুরা। শুভেন্দু অধিকারী-সহ অধিকারী পরিবার মমতার ক্ষমতা ভোগ করে সারদা-নারদা কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচতে বিজেপির পতাকাতলে শামিল হয়েছেন। মুকুল রায়, শোভন চ্যাটার্জী, রাজীব ব্যানার্জীরা গদ্দারি করছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দুর্নীতির মুখোশ খুলে পড়েছে বিশ্বাসঘাতকদের। জনতার আদালতে বিজেপির স্বৈরাচার ও দ্বিচারিতার বিচার হবে।‘ এছাড়াও জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মা-মাটি-মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার আবেদন জানান তিনি।
গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর আরএসএ ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় হাজির ছিলেন তিনি। সেখানে এই কথা বলেন। সভায় ‘জনসুনামি’ আছড়ে পড়ে। সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্য যুবনেতা তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ডঃ সৌমেন মহাপাত্র, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক তথা বিধায়ক অখিল গিরি, বিধায়ক অধ্যাপক জ্যোতির্ময় কর, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসর সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, শম্পা মহাপাত্র, খালেক কাজি, বিশ্বরঞ্জন মিশ্র, অশোক বিশাল প্রমুখ।
জেলা সভাপতি ডঃ সৌমেন মহাপাত্র অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গ বলে অভিহিত করেন। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে তৃতীয় বারের জন্য মা-মাটি-মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের জয়যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে দাবি করেন তিনি।