মহানগর ওয়েবডেস্ক: একাধিক অভিযোগ, সরকারের বিরুদ্ধে তোপ, তা ব্যতি রেখে আজ তৃণমূলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে হাজির হতে পারেন কুনাল ঘোষ! সূত্রের খবর এমনটাই। জানা গিয়েছে, নেতাজি ইন্ডোরে হতে চলা এই বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসই। সেই আমন্ত্রণের ফলেই আজ ইন্ডোরে এই বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন কুনাল। এমনটা হলে দীর্ঘ ৭ বছর পর পুরনো দলের ‘ডাকে’ ফিরছেন কুনাল ঘোষ। শেষবার তাঁকে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে।
সূত্রের খবর, এদিনের এই বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে হাজির থাকবেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের আমন্ত্রণেই আজ বৈঠকে যেতে পারেন কুনাল ঘোষ। যদি তিনি হাজির হন সেটি যে তৃণমূল এবং রাজ্য রাজনীতির পক্ষে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ হবে তা বলাই বাহুল্য। এক নয় একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তোপ দেগেছেন কুনাল। কখনও পরোক্ষে কখনও প্রত্যক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন। সেইসমস্ত বিরোধিতা পাশে রেখে দলের ডাকে কুনালের বৈঠক যোগ দেওয়া মানে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে নতুন সমীকরণ খুঁজে পাওয়া। খাতায় কলমে তিনি এখনও তৃণমূলেরই, কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছরে তাঁর কোনও অন্তর্ভূক্তি দলে নেই। জেলে যাওয়া, একাধিকবার সরকার বিরোধী মনোভাব মিলিয়ে কুনাল ঘোষ একজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এখন ফের দলীয় কাজে পুনরায় যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠেই আসছে এই বৈঠকের খবর শোনার পর।
জেলে থাকাকালীন এবং জেল থেকে বেরনোর পর থেকেই কুনাল ঘোষের তৃণমূল বিরোধিতা বেড়েছে। সবশেষে তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদ তাপস পালের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত কুনাল সরকারকেও তোপ দাগেন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। সেই ঘটনা বেশিদিন হয়নি। এরইমধ্যে তৃণমূলের বৈঠকে যোগ দেওয়ার খবর রীতিমতো কৌতূহল ছড়িয়েছে বঙ্গীয় রাজনীতিতে। এর আগে বহুবার তিনি বলেছিলেন যে, তিনি দমে যাওয়ার পাত্র নন। তাঁকে দমিয়ে দেওয়া যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের কঠিন সময়েই সঙ্গী তিনি। তবে দলের পক্ষে তাঁকে নিয়ে কোনও মন্তব্যই করা হয়নি। কোনও শীর্ষ নেতৃত্বই করেনি। তবে আজ হঠাৎ এই বৈঠকে কুনালের অন্তর্ভূক্তি সারি সারি প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
কয়েক সপ্তাহ পরেই পুরভোট, তারপর আর দেখতে দেখতে কয়েকমাসের অপেক্ষা, তারপরেই ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলে যদি ফের কুনাল ঘোষের অন্তর্ভূক্তি হয়, তবে তা কোন দিকে মোড় নেবে তা জানতে হলে সময় নিয়ে অপেক্ষা করতেই হবে। তবে এই মুহূর্তের প্রশ্ন একটাই, শুধুই কী বৈঠক, নাকি দল তাঁকে কীভাবে কাজে লাগাতে পারে তাই নিয়েও নতুনভাবে ভাবছে তৃণমূল?