মহানগর ওয়েবডেস্ক: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে পাকড়াও করতে হন্যে হয়ে ঘুরছে সিবিআই। হোটেলের রান্নাঘর থেকে শুরু করে হাসপাতালের আইসিইউ, কোনও জায়গাই বাদ রাখছে না তাঁরা। কিন্তু খোঁজ মিলছে না রাজীবের। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তোপ দাগা শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের তরফে তো এমনও আশঙ্কা করা হয়েছে যে রাজীবকে হত্যা করা হয়েছে! এইসব বিতর্কের মাঝেই এবার বিস্ফোরণ ঘটালেন কুনাল ঘোষ। বিতর্ক তৈরি করতে না চেয়েও বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন তিনি।
রাজীব কুমারের ‘বেপাত্তা’ হওয়ার প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন কুনাল ঘোষ। রীতিমতো রাজীবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন,
‘যে রাজীবকুমার আমার বক্তব্য না শুনে পরিকল্পিত চিত্রনাট্যে আমাকেই কলঙ্কিত করে মামলার মালা পরিয়ে আমাকে ধ্বংস করে ইস্যু ধামাচাপার উন্মত্ত খেলায় মেতেছিলেন; যে রাজীবকুমারের তৈরি বেড়াজালে আমি আজও মামলাগুচ্ছে চরকি কাটছি; যে রাজীবকুমারের সৃষ্ট কাগজপত্রের জেরে আমি সিবিআই, ইডির থেকেও বেরোতে পারছি না; কোর্টের বিচারের লক্ষ্যে লড়াই করছি; সেই রাজীবকুমার এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? কেন তিনি প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন?’
এই প্রেক্ষিতে তিনি মূলত রাজ্য সরকারে কাঠগড়ায় তুলে মন্তব্য করেন, ‘যার টাকা আছে, যার প্রভাব আছে, আইনি সুবিধা তার।’ আইন সবার জন্য সমান, এটা হাস্যকর কথা, দাবি কুনালের।
মূলত, টাকার জোরে রাজীব ‘পালিয়ে’ বেড়াচ্ছেন বলে দাবি কুনালের। মন্তব্য করেছেন,
‘কখনও সুরক্ষাবলয় মামলা, কখনও আগাম জামিন; সর্বোচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত, আবার নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত; ধারাবাহিক মামলা। টাকার জোর না থাকলে সম্ভব? আইনের ফাঁক খোঁজার চেষ্টা। ততদিন আত্মগোপন। যদি কোনো কোর্টে কপাল খুলে যায়।’ পাশাপাশি, তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি সাধারণ কোনো ব্যক্তি উধাও থাকত, খোদ রাজীব কী করতেন? তার বাড়ির লোক, ঘনিষ্ঠরা ঘুমোতে পারত?
একইসঙ্গে বিজেপির রাজীবকে নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও এই পোস্টে বক্তব্য রাখেন কুনাল। তাঁর দাবি,
রাজীবের এখনই নিন্দা করা উচিত নয় বিজেপির, কারণ ভবিষ্যতে ‘ওয়েলকাম রাজীব’ বলার দরজা খোলা রাখার গন্ধটাও আছে!
কুনালের বক্তব্যে স্পষ্ট তিনি রাজীবের গোটা বিষয় নিয়ে ভীষণভাবেই বীতশ্রদ্ধ। কড়া আক্রমণের ভাষায় তিনি রাজীবকে সহযোগীতার কথাও বলেছেন। মন্তব্য করেছেন,
‘আপনি ডাকলে আমি নিয়মিত যেতাম। শেষে ছলাকলার আশ্রয় নিয়ে আমার সর্বনাশ করলেন। এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? আসুন, তদন্তে সহযোগিতা করুন। আপনার যা চলছে, এটাও একটা শাস্তি। পলাতক গোয়েন্দাপ্রধানের বিরলতম উপাধি আপনার মুকুটে; এই কলঙ্কিত তকমা আপনার প্রাপ্য ছিল।’
সবশেষে রাজীব কুমারকে প্রাকশারদীয়া শুভেচ্ছাও জানান কুনাল ঘোষ।
দেখে নিন সেই ফেসবুক পোস্ট…