ডেস্ক: গত ১৯ মার্চ পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলাতে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। শনিবার সেই মামলার সাজা ঘোষণা করল আদালত। প্রায় ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগে লালু প্রসাদ যাদবকে দুটি ধারায় ৭ বছর করে মোট ১৪ বছরের সাজা ঘোষণা করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। একইসঙ্গে ৩০ লক্ষ করে মোট ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাঁর।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অন্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আরজেডি সুপ্রিমো লালুর ঠিকানা এখন বিরসা মুন্ডা জেল। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই মামলায় প্রায় ৩ কোটি ১৩ লক্ষ গায়েব করার অভিযোগ ওঠে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে এই মামলায় জড়িত ছিলেন বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও। তবে তাঁকে বেকসুর খালাস করে আদালত। লালু সহ দোষী সাব্যস্ত করা হয় ১৮ জনকে। এদিন সেই মামলারই সাজা শোনালো রাঁচির স্পেশাল সিবিআই আদালত।
উল্লেখ্য, পশুখাদ্য প্রথম মামলায় ইতিমধ্যেই জেল খেটেছেন লালু। দ্বিতীয় ও তৃতীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ৩ বছর ও ৫ বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছে আরজেডি প্রধানের। ১৯৯০-এর দশকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৫.৬২ কোটি টাকা অবৈধভাবে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে লালুর বিরুদ্ধে। এরপর, ১৯৯৪ সালে দেওঘর ট্রেজারি থেকে জালিয়াতি করে তুলে নেওয়া হয় ৮৯.২৭ লাখ টাকা। দুমকা ট্রেজারির এই মামলাতেও প্রায় ৩ কোটি ১৩ লক্ষ গায়েব করার অভিযোগ ওঠে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। সেই মামলা আজ দুটি ধারায় ৭ বছর করে ১৪ বছরের সাজা ঘোষণা করল আদালত।