মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক করোনিলকে ছাড়পত্র দিয়েছে। পতঞ্জলীর তরফে দাবি করেছে, করোনা সারাতে সক্ষম করোনিল। তবে সেই দাবি মানতে মোটেই রাজি নয় মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনীল দেশমুখ জানিয়েছেন, উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখানোর পরেই করোনিল মহারাষ্ট্রে বিক্রি করা যাবে। এর আগে কেন্দ্রের করোনিলের ছাড়পত্র দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
গত শুক্রবার যোগগুরু রামদেব পতঞ্জলির করোনিলকে করোনার ওষুধ বলে দাবি করেন। এই বিষয়ে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির উপস্থিতিতে করোনিলের প্রথম পর্যায়ের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন রামদেব। দাবি করা হয়, করোনিলকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু ও জিএমপি শংসাপত্র দিয়েছেন। এবার ভারতের বাইরে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতেও করোনিল পাঠানো হবে বলে যোগগুরু রামদেব জানিয়েছেন। যদিও হু টুইট করে জানিয়েছে, কোনও আঞ্চলিক সংস্থার করোনার ওষুধকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এরপরেই আইএমএ প্রতিবাদে সরব হয়েছে। কীভাবে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে হুর নাম করে মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে বলেও আইএমএ দাবি করেছে। প্রশ্ন উঠছে করোনিল যদি এতই কার্যকর হবে, তা হলে করোনার টিকার পিছনে সরকার এত টাকা খরচ করছে। একই প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
গত বছরও করোনার ওষুধ বলে করোনিল বলে দাবি করেছিলেন রামদেব। সেই সময় কেন্দ্র করোনিলকে নিষিদ্ধ করেছিল। এবার পাশে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে রামদেব করোনিলকে করোনার ওষুধ বলে দাবি করেন। কিন্তু আইএমএ করোনার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায়, করোনিলের ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে।