Highlights
|
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ৩১ ডিসেম্বর বর্ষবরণের রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বাধা দিতে গিয়ে বেধড়ক মার খান নির্যাতিতার বাড়িওয়ালা তরুণ দেবনাথ। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যে রতন দাস (তোতা), সৌরভ সরকার, মৃণাল বিশ্বাস নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ডি অর্থাৎ গণধর্ষণ ছাড়াও বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে। ওই গণধর্ষণ মামলায় প্রধান সাক্ষী তরুণ দেবনাথ। গতকাল ফের বাড়িওয়ালা তরুণ দেবনাথকে মারধর করা হয়।
তরুণবাবুর অভিযোগ, ওই গণধর্ষণ মামলায় প্রধান সাক্ষী হওয়ায় তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। অভিযুক্ত রতন দাস (তোতা)-এর সম্পর্কে ভাই শুভম হালদার তার ওপর হামলা চালায়। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ভীত, সন্ত্রস্ত। ২০১৩ সালে প্রতিবাদী ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছিল স্থানীয় দুষ্কৃতীদের হাতে। সারাদেশ উত্তাল হয়েছিল ওই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই অন্ধকারময় দিন আবার ফিরে এসেছে বামনগাছি স্টেশন জুড়ে। সন্ধ্যা নামতেই দাগি অপরাধীদের হাট বসে স্টেশনে। মদ, গাঁজা-সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম চলে সারারাত। নিহত সৌরভ চৌধুরীর পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক যোগ থাকায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
একজন মহিলার সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে মার খাবার পরও সাক্ষী হওয়ার অপরাধে যেভাবে হামলা চালানো হল, তাতে প্রভাবশালী অভিযুক্তদের আদৌ শাস্তি হবে কিনা তা প্রশ্নের মুখে। প্রসঙ্গত, প্রধান অভিযুক্ত সৌরভ সরকার বারাসত বিজেপি পরিমণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকারের ছেলে।