ডেস্ক: সারা দেশের চোখ দিনভর আটকে ছিল গঙ্গার পশ্চিম তীরের ১৬ তলা নীল-সাদা বাড়ির দিকে। কারণ সে বাড়ি থেকেই যে দেশের রাজনীতি বদলের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ১৯ মার্চ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। জল্পনাটা তখনই ছড়িয়েছিল। তাহলে কি আবার কোনো তৃতীয় ফ্রন্ট? বস্তুত সেই জল্পনাকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়ে সোম বিকালে নবান্নে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে আরও উস্কে দিলেন দেশের দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
দুজনেই জানিয়ে দিলেন বৈঠক ফলপ্রসু। এই বৈঠকই হয়ে উঠতে চলেছে ভবিষ্যৎ ভারতের রাজনীতির পরিবর্তনের পটচিত্র। চন্দ্রশেখর জানালেন, বাংলার উন্নতি এখন শুধু চোখে ধরা পড়ে না। দেশের অনান্য প্রান্তে বসেও সেটা বেশ ভালোই বোঝা যায়। কংগ্রেস বা বিজেপি কেউই দেশ শাসনের যোগ্য নয়। তাই দুইয়েরই বিকল্প প্রয়োজন। ফেডারেল ফ্রন্টই হবে সেই বিকল্প, যা দেশে আনবে রাজনৈতিক পরিবর্তন। তবে সেটা রাতারাতি হবে না। দেশে যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে সেটা দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে যেমন উপলব্ধি করতে হবে, তেমনি বুঝতে হবে আম জনতাকেও। মানুষকে একজোট করে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে সেই ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে তুলতে হবে। আজ সেই ফ্রন্ট গড়ে তোলার পথ চলা শুরু হল আলোচনার মাধ্যমে।
মমতাও জানালেন ফেডারেল ফ্রন্টই হতে চলেছে তাঁর আগামীদিনের রাজনীতিতে পাখির চোখ। সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে কেন পরিবর্তন প্রয়োজন। ফেডারেল ফ্রন্টই পারবে দেশের যথাযথ উন্নতি সাধন করতে। চন্দ্রশেখরজি আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসেছি। সেই বৈঠক সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে দেশের রাজনীতি বদল ঘটাবার প্রয়াস শুরু হয়ে গেল।