নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লির রাজপথে কৃষক আন্দোলনে অশান্তির ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের অসংবেদনশীল মনোভাবের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিন টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘দিল্লির রাজপথে যা হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কৃষক ভাই-বোনেদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদনশীল ও উদাসীনতা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দিল্লির ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমি ব্যথিত।‘
সাধারণতন্ত্র দিবসে দিনভর বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লির রাজপথ। কৃষক আন্দোলনের জেরে গোটা দিল্লি এদিন অশান্ত হয়ে ওঠে। এক আন্দোলনকারীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ট্র্যাক্টর চাপা পড়ে ওই আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। যদিও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণতন্ত্র দিবসের সকাল থেকে দিল্লির একাধিক সীমানা থেকে একাধিক র্যালি বের করেন কৃষকরা। লক্ষ্য ছিল দিল্লি। এগিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্ত বেলার দিকে পুলিশের সমস্ত বাধা ভেঙে দিল্লিতে ঢুকে পড়েন কৃষকরা। এরপর ব্যারিকেড ভেঙে লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
দিল্লির এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করা হয় আংশিক মেট্রো পরিষেবাও। বিভিন্ন মহল থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তাতেও আন্দোলনের ঝাঁজ কমেনি। পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পর মোকাবিলার জন্য বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ও দিল্লির পুলিশ কমিশনার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয় দিল্লির রাজপথে।