নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এবার নীলবাড়ি দখলের লড়াই নিয়ে সমস্ত দলের তৎপরতা তুঙ্গে। এদিকে ভোটের নির্ঘণ্ট সামনে আসতেই নন্দীগ্রাম আস্নটি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ এই হাইভোল্টেজ আসনেই লড়ে জেতার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই ওই আসনে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করেছেন। যে আসনে আগেরবার জিতেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে বিরোধীদের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বারের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে লড়তে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, তাঁর এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে আছে।
এদিকে নন্দীগ্রাম নিয়ে তৃণমূল যে কোমর বেঁধে ময়দানে নামবে, তা আগেই জানান দিয়েছে মমতা শিবির। খোদ দলনেত্রী সেখানকার সভায় নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম তাঁর লাকি জায়গা। এদিকে, ভবানীপুর থেকে মমতা লড়ছেন না বলেই সূত্রের খবর। এখনও তৃণমূলের তরফে তুরুপের তাস ফেলা বাকি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই জায়গা থেকে ভোট ঘোষণা হতেই পূর্ব মেদিনীপুরে অখিল গিরির কাছে ফোন গিয়েছে মমতার।
জানা যাচ্ছে, ভোট ঘোষণা হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন অখিল গিরিকে। খোঁজ নেন পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে। এলাকায় তৃণমূলের জমি কতটা পোক্ত তা খোঁজ নিতেই অখিল গিরিকে ফোন করেন মমতা। পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত আসনের খোঁজ খবর নিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
নন্দীগ্রামের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যেতেই এই আসনে মমতা নিজে লড়াই করে জেতার বার্তা দিয়েছেন। পাল্টা শুভেন্দুর দাবি, তাঁর এলাকায় ৫০ হাজার ভোটে মমতাকে হারাবে বিজেপি। এমন এক পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম নিয়ে কোমর বাঁধছে তৃণমূল শিবির।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। এদিকে, সূত্রের খবর বিজেপি এই আসনে শুভেন্দু অধিকারীকে নামানোর চিন্তা ভাবনা করছেন। অন্যদিকে বাম, কংগ্রেস ও আব্বাসদের জোটের মধ্যে সেখানে আব্বাসরা প্রার্থী দিয়ে মমতার মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে। এমন অবস্থায় নন্দীগ্রামে নিজেদের জমি কতটা পোক্ত, তার খোঁজ খবর নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।