মহানগর ওয়েবডেস্ক: পুজো উদ্বোধনে শহরে আসছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর আগমনের আগেই মহালয়ার দিন তৃণমূলকে নিশানায় নিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন বিজেপি কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন সকালে বাগবাজার ঘাটে রাজ্যে নিহত বিজেপি কর্মীদের স্মৃতির উদ্দেশে তর্পণ করেন তিনি। একই সঙ্গে দেবীপক্ষের সূচনার তৃণমূলের ভবিষ্যৎও বলে দেন নাড্ডা। তৃণমূলের সব কাজ শেষ, শুধু বিদায়পর্ব বাকি, এমনটাই বলতে শোনা যায় নাড্ডাকে।
এদিন বাগবাজার ঘাটে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের উপস্থিতিতে ‘শহিদ তর্পণ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ নামের এক মঞ্চ বাঁধা হয় বিজেপি-র তরফে। সেখানে উপস্থিত হন নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারবর্গেরা। কমপক্ষে ৬৫টি পরিবারের সদস্যদের এদিন তর্পণ করাতে নিয়ে আসে বিজেপি। শীর্ষ বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতেই বাগবাজার ঘাটে তর্পণ সারেন নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিজনেরা। এরপর পুরোহিতের কথা মতো মন্ত্রোচ্চারণ করে অস্থিকলস গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন নাড্ডারা। এরপরই রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানায় নিয়ে একের পর এক তোপ দাগা শুরু করেন বিজেপি-র কার্যনির্বাহী সভাপতি।
Kolkata: BJP Working Pres JP Nadda, BJP National General Secretary Kailash Vijayvargiya & party’s state Pres Dilip Ghosh at a ceremony to perform ‘tarpan'(ritual of paying homage to ancestors) for party workers killed in political violence in the state. pic.twitter.com/fvWiDEFBB5
— ANI (@ANI) September 28, 2019
নাড্ডা বলেন, ‘এ রাজ্যে আইন বলে কিছুই নেই। পুলিশ রক্ষক নয়, ভক্ষক, নীরব দর্শক। আমাদের দলীয় কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। ৮০ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীরা বিপাকে পড়লে পুলিশকে ফোন করছেন। মৃত দলীয় কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাঁরা আমায় বলেছে, এখনও কোনও অভিযোগই নেয়নি পুলিশ। দোষীরা ঘুরে বেরাচ্ছে বহাল তবিয়তে।’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানায় নিয়ে নাড্ডাকে কটাক্ষের সুরে বলতে শোনা যায়, ‘পায়ের নিচের জমি সরে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধির উদয় হয়েছে তাঁর। রাজ্যে জঙ্গলরাজ-গুন্ডারাজ চলছে।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার বলি যেসব বিজেপি কর্মী, তাদের স্মৃতির উদ্দেশেই এই ‘শহিদ তর্পণ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ নামক কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। যার কারণে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশে করা তর্পণে বিজেপি যেভাবে রাজনৈতিক রং মিশিয়েছে, তা ভালোভাবে নিচ্ছে না শাসকদল। বলে পুজোর মরসুমে তর্পণ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে যে রাজনৈতিক মাইলেজেই জোর দিল রাজ্য বিজেপি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।