মহানগর ওয়েবডেস্ক: টালা ব্রিজ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চরম দ্বিধাগ্রস্থ রাজ্য সরকার। পুজোর মুখে উত্তর কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতুতে পুজোর মুখে যান চলাচল বন্ধ রাখার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন বলে প্রশাসনিক মহলের অভিমত। পুলিশ ও এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। আবার বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শ অগ্রাহ্য করে দুর্বল ওই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চালালে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।
এমতবস্থায় বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রী-আমলারা দফায় দফায় বৈঠক করেও টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। সব ব্যাপারের মতো এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে আছেন নবান্নের কর্তারা। টালা ব্রিজের ভবিষ্যত নিয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে এ বিষয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একথা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার পর পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিযাররা সেতুটি পরীক্ষা করেন। এরপর নবান্নে পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব মলয দে, কেএমডিএ, রেল, পুলিশ ও পূর্ত দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকেরা বৈঠক করেন।
পুজোর সময়ে যাতে কোনও বড় দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ছোট, হালকা গাড়ি ও ব্যক্তিগত গাড়ি বাদে বাস, মিনিবাস, পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গতকালই নেওয়া হয়েছে। ব্রিজের নিচে বসবাসকারি পরিবারগুলির পুনর্বাসন এবং টালা ব্রিজের বিকল্প পথ নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। গতকাল বিকেল থেকেই ওই সব বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেতুর ভবিষ্যত নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে এব্যপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই সেতুতে। হাইট বার বসানোর জন্য টেন্ডার ডেকেছে পূর্ত দপ্তর। তবে পুজোর আগে এ নিয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার পক্ষে মতামত দিয়েছে প্রশাসনের অধিকাংশ। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।